বাতের ব্যথা একদম কাবু করে দিচ্ছে ?

banner

#Pravati Sangbad digital Desk:

বাতের ব্যথা নিয়েই যাদের নিত্য বসবাস, তাদের জন্য লেখাটি খুব কাজের হতে পারে। যারা দীর্ঘদিন বাতের ব্যথায় ভুগছেন–তারা অনেকেই বাতের ব্যথার উপশমের নানা উপায় খোঁজেন। বাতের সমস্যা অনেক কারণে হতে পারে। অনিয়মিত জীবনযাপন, বংশগত, অন্য বিভিন্ন রোগের প্রভাবে, এছাড়া আরও অনেক কারণে বাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ব্যথা কাঁঠালের আঠার মতো এতটাই জোরালো যে অনেক ওষুধ খেয়েও মুক্তি পান না অনেক মানুষ।

এমন কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যা মানলে বাতের কষ্ট থেকে কিছুটা রেহাই পেতে পারেন।বাতের ব্যথা উপশমে মূলত কাজে আসে বাতের ওষুধ এবং আমাদের জীবনযাত্রার কিছু বাজে অভ্যাস পরিবর্তন। এই রোগের সরাসরি কোনো চিকিৎসা নেই। তাই শুধুমাত্র ব্যথার ওষুধের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে বরং মনোযোগ দিতে হবে আমাদের লাইফস্টাইলে। বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখার কিছু ঘরোয়া সমাধান নিয়ে এবার আলোচনা করা যাক।

আদা চা : ব্যথায় কাতরাচ্ছেন। চিন্তা নেই। পানিতে আদা কুচি, চা পাতা দিয়ে ১৫ মিনিট ধরে ফুটিয়ে সেই চা পান করুন। দুধ দিয়েও আদা চা করে খেতে পারেন। সাময়িক ভাবে ব্যথার থেকে রেহাই পাবেন। এ ক্ষেত্রে জিনজার টি-ব্যাগও ব্যবহার করতে পারেন। 

জাঙ্ক ফুড একদম নয় : যে কোন রকম ভাজাভুজি, জাঙ্ক ফুড বা প্যাকেট জাত খাবার এড়িয়ে চলুন। সম্প্রতি এক সুইডিস গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যারা মশলাদার খাবার ছেড়ে বেশি পরিমাণে টাটকা সবজি, ফলমূল, মাছ, অলিভ তেল খান, তাদের বাত হওয়ার প্রবণতা অনেক কম। 

 ঘরোয়া মিশ্রণ : ব্যথা কমাতে ঘরেই বানিয়ে নিতে পারেন একটা সহজ মিশ্রণ। কয়েক চামচ মরিচ গুড়োর সঙ্গে ২-৩ চামচ অলিভ তেল। এটা অনেক প্রাচীন দেশজ পদ্ধতি। এই মিশ্রণ লাগানোর পর প্রথমে খুব জ্বালা হবে, কিন্তু ধীরে ধীরে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যথা অনেক কমে যাবে।

প্রতিরোধই বাতের সমস্যা থেকে উপশমের উত্তম উপায়। রোগ দেখা দিলে ওষুধের মাধ্যমে প্রতিকার পাওয়া যায় বটে, তবে তখন অ্যালকোহল এবং যেসব খাবার গ্রহণ করলে ইউরিক এসিড মজুদ হওয়া বেড়ে যায়, সেসব থেকে দূরে থাকা অবশ্য কর্তব্য।

এছাড়া রোগীকে প্রচুর পানি খেতে হবে, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, সুষম খাবার ব্যবহার করার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ওজন ঠিক রাখতে হবে।

হলুদ : হলুদকে আয়ুর্বেদে আর্থ্রাইটিসের জন্য একটি ওষুধ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। প্রকৃতপক্ষে, এটি একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক, যাতে কার্কিউমিনয়েড নামক উপাদান পাওয়া যায়। এগুলোর কারণে হলুদে অ্যান্টি-আথ্রাইটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, যদি আঘাতের উপর হলুদ ব্যবহার করা হয়, তাহলে আপনি দ্রুত লাভ পেতে পারেন। একই সময়ে, এটি শরীরের প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও, এটি ধীরে ধীরে আর্থ্রাইটিসের প্রভাব কমাতে পারে । তাই বাতের ওষুধ হিসেবে হলুদ ব্যবহার করা যেতে পারে।

মেথি : মেথি খাবারের স্বাদ বাড়ালেও অনেক রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টি-আর্থথ্রিকের একটি প্রধান উত্স হিসাবে বিবেচিত হয়। এই কারণেই এটিকে আয়ুর্বেদে আর্থ্রাইটিসের প্যানেসিয়া চিকিৎসাও বলা হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, মেথির বীজে পেট্রোলিয়াম ইথার নির্যাস থাকে, যার কারণে তারা আর্থ্রাইটিসের কারণে জয়েন্টের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। এতে স্যাচুরেটেড এবং অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে। এই কারণে এটি প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতে পারে। তাই বাতের ব্যথা হলে বাতের ওষুধ হিসেবে মেথির বীজ খাওয়া যেতে পারে।

গরম কম্প্রেসগুলিও আর্থ্রাইটিসের ঘরোয়া প্রতিকারের অন্তর্ভুক্ত। আর্থ্রাইটিসে উষ্ণ সংকোচন জয়েন্টগুলির শক্ততা কমাতে পারে এবং পেশীগুলিকে নরম করতে পারে। এটি ভাল রক্ত ​​​​প্রবাহের অনুমতি দেয়। এতে করে জয়েন্টের ব্যথা কম করা যায় । এই ভিত্তিতে, এটি অনুমান করা যেতে পারে যে আর্থ্রাইটিসের চিকিত্সার জন্য গরম কম্প্রেসের ব্যবহার অনেকাংশে সহায়ক হতে পারে।

আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী ভিজা বা শুকনো উপায়ে হট কম্প্রেস প্রয়োগ করতে পারেন। এজন্য হয় গরম পানি দিয়ে গোসল করুন অথবা বাথটাবে গরম পানি ভরে কিছুক্ষণ বসে থাকতে পারেন। উপরন্তু, একটি হিটিং প্যাড প্রায় 20 মিনিটের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Aparna Dutta

Related News