আজকাল সকলেই স্বাস্থ্য নিয়ে বেশ সচেতন। শরীর সুস্থ রাখতে নানান পদ্ধতি অবলম্বন করে চলে। কেউ কেউ আবার ডায়েটের সাহায্যও নিয়ে থাকে। তবে শুধু খাওয়া - দাওয়া করলেই শরীর সুস্থ থাকে না। ডায়েটের পাশাপাশি নিয়মিত শরীর চর্চাও করতে হয়। কাজুবাদাম, আমন্ড , আখরোট , খেজুর , চিনেবাদাম শরীরের ওজন ঝরাতে অনেক সাহায্য করে।
চিনাবাদাম খেতে অনেকেই ভালোবাসেন। চিনেবাদাম স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশ উপকারি। শীতকালে চিনাবাদাম খেলে শরীর গরম থাকে। চিনেবাদাম খেলে শরীরের ওজনও কমে। প্রোটিন ছাড়াও অনেক ধরনের মিনারেল, ভিটামিন আছে চিনাবাদামে।
চিনেবাদামে ক্যালোরি, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, চর্বি, ফাইবার, ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, পটাসিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও আরো অনেক ভিটামিন থাকে। জেনে নিন চিনেবাদাম থেকে কী কী উপকার পাওয়া যায় -
১. ওজন কমাতে সাহায্য করে :
যেহেতু এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবার রয়েছে, তাই এটি খাওয়ার পরেও অনেক্ষনের জন্য পেট ভরা থাকে । চিনাবাদাম খেলে বারবার খিদে পায় না। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই ডায়েটের মধ্যে চিনেবাদাম রাখা ভালো।
২. শরীরের পেশী শক্তিশালী করে :
নিয়মিত চিনেবাদাম খেলে পেশী শক্তিশালী হবে।
৩. চোখ ভাল রাখে :
চিনাবাদাম চোখের পক্ষে ভালো। চিনাবাদামে থাকা জিঙ্ক শরীরে ভিটামিন এ কে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। যা পরিষ্কার দৃষ্টির জন্য অপরিহার্য। চিনেবাদামে থাকা ভিটামিন ই ছানি এবং বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন থেকেও রক্ষা করে।
৪. হৃদরোগ থেকে মুক্তি দেয় :
চিনেবাদাম নিয়মিত খেলে হৃদরোগের সম্ভাবনা কম থাকে। চিনেবাদামে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, কপার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা সুস্থ হার্টের জন্য অপরিহার্য। চিনেবাদামে প্রচুর পরিমাণে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ফাইবার, প্রোটিন থাকে যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
৫. ত্বকের সৌন্দর্যতা বজায় রাখে :
চিনেবাদাম খেলে ত্বক সুস্থ থাকে। শীতে ত্বক শুষ্ক হওয়ার প্রবনতা দেখা যায়। চিনেবাদামে এই সমস্যা দুর হয়। ত্বকে চিনাবাদাম তেলও লাগাতে পারেন। এতে উপস্থিত মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ত্বকের দাগ কমায়, বলিরেখা, কালো দাগ দূর করে। এটি একজিমা, সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের অবস্থাও নিরাময় করে।