Flash News
Monday, September 22, 2025

পার্কস্ট্রিট সেজে উঠেছে বড়দিনের উৎসবে, অন্য দিকে মাথা চারা দিচ্ছে ওমিক্রন

banner

journalist Name : Sagarika Chakraborty

#Pravati Sangbad Digital Desk:

রাজ্যে এখন শীতের আমেজ, পশ্চিমী ঝঞ্জা কাটিয়ে রাজ্যে এখন শীত জাঁকিয়ে বসেছে। সামনেই বড় দিন বর্ষবরণ। সাজোসাজো রব মহানগরে, কিন্তু তার মধ্যেই ওমিক্রন ভাবচ্ছে স্বাস্থ্য কর্তাদের। ডেল্টার ভ্যারিয়েন্টের থেকে অনেক খানি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনার নতুন এই প্রজাতি ওমিক্রন। আজই ২০০ পার করে ফেলেছে ওমিক্রন, যা নিয়ে চিন্তিত গোটা দেশ। আজ সকল রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল গুলিকে সাবধান করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। বিশেষজ্ঞদের মতে এই নতুন প্রজাতি সব থেকে বেশি সংক্রামক আগের প্রজাতি গুলির থেকে, এমনকি টিকাকরন হয়ে গিয়ে থাকলেও যে এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তাও এখনও স্পষ্ট ভাবে জানাতে পারছেন না কোন ভাইরাস বিশেষজ্ঞ। বড়সড় জমায়েত এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। কর্ণাটক সরকার ইতিমধ্যেই বড়দিন এবং বর্ষবরণের জমায়েত এড়াতে করা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। 

অন্যদিকে আমাদের রাজ্যে প্রতিদিনই কেউ না কেউ ওমিক্রন সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, ওমিক্রনের কথা মাথাই রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন আগামী ১৫ই জানুয়ারি পর্যন্ত বিধি নিষেধ বজায় থাকবে, কিন্তু গোটা রাজ্যে বড়দিনের ছুটিতে রাত্রি কালীন বিধি নিষেধ শিথিল করেছে রাজ্য সরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে রাত্রিকালীন নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য ছড়াতে পারে সংক্রমন। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ওমিক্রন ঠেকাতে ওয়ার রুম চালু করার পরামর্শ দিয়েছে সমস্ত রাজ্য সরকারগুলিকে। অন্যদিকে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টও এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি নিঃশেষ হয়নি, তাই সেই দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে বারবার। এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ বিপদ এড়ানোর জন্য দুটি পথও বলে দিয়েছেন। এক সপ্তাহে টেস্ট পজিটিভিটি রেট যদি ১০ এর ওপরে হয় তাহলে সাথে সাথে করা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর দিকে কড়া নজর দিতে বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব।
 
কর্ণাটক সরকার করোনা এড়াতে পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনও পর্যন্ত কোন কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি, গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্ক স্ট্রিটে বড়দিনের উৎসবের উদ্বোধন করেছেন। এখন বড়দিন ইংরেজি বর্ষবরণ পালন করতে গিয়ে বড়সড় বিপদ ডেকে আনছে না তো পশ্চিমবঙ্গ, আশঙ্কা সর্বত্র। গত ২৪ ঘণ্টাই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৪০ জনের কাছাকাছি। এদিন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সুত্রে জানানো হয়েছে, কোন করোনা আক্রান্ত রোগীর সিটি ভ্যালু যদি ৩০ এর কম হয় তাহলে দ্রুত সেই রোগীর লালা রস সংগ্রহ করে কল্যাণীতে জিনোম পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হবে। কলকাতা সহ দেশের আরও সাতটি বড় শহরে করোনার নতুন প্রজাতির সংক্রমন রুখতে কেন্দ্রীয় সরকার ন্যাশানাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের সাথে বৈঠক করেছে। বৈঠকে ঠিক হয় এই সমস্ত শহরে কোন ব্যাক্তি করোনা আক্রান্ত হলেই কড়া নজরদারি চালাতে হবে।

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

দেশ মহামারি লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য
Related News