#Pravati Sangbad Digital Desk:
সামনেই বড় দিন, বর্ষবরণ উৎসবের মরশুমে রাজ্যে আবার ওমিক্রন আতঙ্ক। কিছু দিন আগেই আবু ধাবি ফেরত এক ৭ বছরের শিশুকে ঘিরে ওমিক্রন আতঙ্কের সূচনা হয়েছিল, কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসাই শিশু সহ তার বাবা মা এবং দিদিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, তবে তারা এখনও নিজের বাড়িতেই নিভৃতাবাসে আছেন। খানিকটা স্বস্তি পেয়েছিলো রাজ্য স্বাস্থ্য ভবন, কিন্তু তার রেস কাটতে না কাটতেই আবার ওমিক্রন আতঙ্ক। গত ১২ই ডিসেম্বর নাইজেরিয়া ফেরত এক বৃদ্ধাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। বিমান বন্দরে তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে, কিন্তু সুত্র মারফৎ জানা গেছে নাইজেরিয়া থেকে ফিরেই উপসর্গ লক্ষণ করেন তিনি, করোনা পরীক্ষা করাতেই তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বৃদ্ধের স্ত্রীও তার সাথে নাইজেরিয়া থেকে ফিরেছিলেন তবে তার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে দক্ষিণ কোলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন তবে তিনি কোন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। সোমবার তার লালা রস সংগ্রহ করে জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। জিনোম রিপোর্ট হাতে আসলেই জানা যাবে ওই বৃদ্ধ করোনার কোন প্রজাতিতে আক্রান্ত। এর আগে বাংলাদেশ থেকে আগত এক বৃদ্ধ এবং বিদেশ ফেরত এক তরুণীকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল ওমিক্রন আতঙ্ক। তবে তাদের শরীরে ওমিক্রনের হদিশ মেলেনি।
এদিকে বর্ষ শেষে রাজ্যে ফের মাথা চারা দিয়ে উঠেছে করোনা, তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছেন রাজ্যে ১৫ই জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত রাত্রি কালীন বিধি নিষেধ চলবে, তবে বড় দিন আর নতুন বছরের কথা মাথাই রেখে কিছু দিন ছাড় দিয়েছে রাজ্য সরকার। হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে ওই বৃদ্ধের বয়স ৬৯ বছর। তার শারীরিক অবস্থার কোন অবনতি এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি, কোন রকম শারীরিক সমস্যা তার নেই। শুধু মাত্র মৃদু উপসর্গ তার মধ্যে রয়েছে। ওই বৃদ্ধের স্ত্রী ছাড়া বাকি যারা তার সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদের ইতিমধ্যেই সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে, তবে তাদের মধ্যে কোন উপসর্গ আপাতত নেই, কিন্তু তা না থাকলেও তাদের করোনা পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন ইতিমধ্যেই দেশের ৭৭ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং তা অন্যান্য প্রজাতির থেকে খুব দ্রুত সংক্রমন ঘটাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু বারবার সতর্ক করছে। অনেক দেশ তো ওমিক্রনের নতুন ঢেউ যেন তাদের কোন ভাবেই আক্রান্ত না করতে পারে তাই লকডাউনের পথে হেঁটেছে। ইতিমধ্যেই ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ এর গণ্ডি টপকে ফেলেছে। ওমিক্রন জাঁকিয়ে বসেছে ব্রিটেনেও। কেন্দ্র সরকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ব্রিটেনের মতো অবস্থা ভারতে হলে দৈনিক ১৪ লক্ষের কাছাকাছি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হবেন। রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, “ ৬৯ বছর বয়সী এই বৃদ্ধ তার স্ত্রীর সাথে ১২ই ডিসেম্বর নাইজেরিয়া থেকে আকশ পথে ফিরেছেন। প্রথমে বিমান বন্দরে তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও পরে তার মৃদু উপসর্গ দেখা যায় এবং রিপোর্ট পজিটিভ আসে, কিন্তু তার স্ত্রী এর রিপোর্ট নেগেটিভ। তার গাড়ীর চালকের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে, এবং তিনি আর কারোর সংস্পর্শে এসেছিলেন কিনা তা দেখা হচ্ছে”।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
Journalist Name : Sabyasachi Chatterjee