জেনে নিন , শীতকালে কোন কোন খাবার খেলে দ্রুত কমবে ডায়াবেটিস

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

ডায়াবেটিসের সমস্যায় বিশ্বব্যাপী ৪২২ মিলিয়ন মানুষ ভুগছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রায় দেড় মিলিয়নেরও বেশি ডায়াবেটিস রোগী মারা যাচ্ছেন প্রতিবছর।রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে রোগী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী ও অপরিবর্তনীয় অবস্থা। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনলে তা প্রতিরোধযোগ্য।শীতকাল পড়তেই মানুষের  দেখা যায় নানান রোগ ব্যাধি  যেমন  ঠান্ডা লাগা, সর্দি, কাশী, জ্বর হাঁচিপড়া ইত্যাদি নানা ছোট খাট ব্যাধি মানুষকে বেশ ভোগায়।এমন পরিস্থিতিতে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সমস্যায় পড়তে হয়।এই পরিস্থিতিতে, বিশেষজ্ঞরা ডায়াবেটিস রোগীদের তাদের খাদ্যতালিকায়  যে জিনিসগুলি অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন যা শরীরের হঠাৎ পরিবর্তনের কারণে নষ্ট হওয়া জিনিসগুলি ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।ডায়েট ও লাইফস্টাইলে কিছুটা পরিবর্তন আনলেই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। 

তাহলে জেনে নিন শীতে ডায়াবেটিস রোগীদের  খাদ্য তালিকায় কি নিয়ম মেনে চলা আবশ্যক।

দারুচিনি চা: শীতের মৌসুমে চা বা কফি  আমরা সকলে খেতে পছন্দ করি । আপনি যদি সুগারের রোগী হন তবে দারুচিনি চায়ের সাথে খান। দারুচিনিতে খুব কম কার্বোহাইড্রেট থাকে। এছাড়া এতে রয়েছে অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া হৃদরোগীদের জন্যও দারুচিনি চা খুবই উপকারী।

পেয়ারা :লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পাশাপাশি পেয়ারার মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমাণ ফাইবার টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়, কোষ্ঠকাঠিন্য রুখতে সাহায্য করে।


পালং শাক: এই শাকে থাকে উপকারী উপাদান লুটিন। উপাদানটি চোখের পক্ষে খুব উপকারী। তাছাড়া থাকে ফোলেট, ভিটামিন সি, আয়রন ইত্যাদি।

ব্রকোলি, বাঁধাকপি ও ফুলকপি: এই সমস্ত সব্জিতে ফাইবারের সঙ্গে থাকে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা সুগার রোগীর হার্ট, কিডনি ও নার্ভের পক্ষে উপকারী।

কাজু  বাদাম - ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কাজু সবচেয়ে ভালো শুকনো ফল। কাজু শুধু হৃদরোগীদের জন্যই স্বাস্থ্যকর নয়, এটি ব্লাড সুগারও নিয়ন্ত্রণ করে। কাজুতে কার্বোহাইড্রেট কম এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি বেশি, যা শরীরকে সুস্থ রাখে। এগুলি ছাড়াও, ডায়াবেটিস রোগীদের নারকেল তেল, মাছ, ফ্ল্যাক্সসিড, চিয়া বীজ ইত্যাদি খাওয়া উচিত।

গাজর: এই সব্জিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে বিটাক্যারোটিন, ভিটামিন, ম্যাগনেশিয়াম ও ফাইবার। কন্দজাতীয় সব্জি হলেও গাজরে এত পরিমাণে উপকারী উপাদান থাকায় ডায়াবেটিকরা নিশ্চিন্তে গাজর খেতে পারেন। সুগার রোগীর চোখের পক্ষে খুবই ভালো গাজর।

স্প্রাউট- স্প্রাউট মানে অঙ্কুরিত গোটা শস্য। যাইহোক, পুরো শস্য নিজেদের মধ্যে সুপার ফুড। কিন্তু এটি ব্লাড সুগার দ্রুত কমায়। এক কাপ স্প্রাউটে মাত্র ১৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। এছাড়া এতে রয়েছে ৬ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার যা হজম শক্তিকে শক্তিশালী করে।

ক্যাপসিকাম: এটি বিভিন্ন বর্ণের যেমন সবুজ, লাল, কমলা ও হলুদ বর্ণের হওয়ায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, বিটাক্যারোটিন, লাইকোপিন থাকায় সুগার রোগীর পক্ষে খুবই উপকারী।

স্ট্রবেরি-লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হওয়ার কারণে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে স্ট্রবেরি। যার ফলে স্ট্রবেরি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, হজম শক্তি বাড়ে, ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।


#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Susmita Das