৬টি খাবার যা প্রাকৃতিকভাবেই ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করে

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

সাম্প্রতিককালে ডায়বেটিসে ভুগছে অনেকেই। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে চাইলেও তা বেশ কঠিন বলেই মনে হয়, তাই তো? তবে কি জানেন রক্তে শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কত বড় বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন? চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়াকে বলা হয় ‘হাইপারগ্লাইসেমিয়া’। শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে অজস্র রোগ। অনিয়ন্ত্রিত রক্তে শর্করার মাত্রা হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা কিডনি মতো গুরুতর সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তবে খারাপ দিক হল এই Diabetes-এর কোনও নিরাময় নেই, শুধুমাত্র সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই সুগারের রোগীদের সর্বদা সজাগ থাকতে হয় তাঁদের খাদ্য তালিকার উপর। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, খাদ্যতালিকায় এমন জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যার গ্লাইসেমিক সূচক কম। খাবারের প্রতিটি রেসিপি পুষ্টিদায়ক হতে হবে। জেনে নিতে হবে, যে খাবার খাচ্ছেন তার ক্যালরির পরিমাণ কম কিনা! সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এই জিনিসগুলিতে জটিল কার্বোহাইড্রেট অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। অনেক ধরণের ডাল রয়েছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি মসুর ডাল হার্ট সংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকিও কমায়। ফ্লোরিডার ‘দ্য মেসোথেলিওমা সেন্টার’য়ের ‘রেজিস্টার্ড নার্স’ শন মার্শেজ এ বিষয়ে বলেন, “রক্তে অতিরিক্ত শর্করা শরীরের সংবেদনশীল টিস্যু যেমন- রক্তনালী, স্নায়ুকোষ ইত্যাদির ক্ষতি করে। হৃদরোগ, বৃক্ক নষ্ট হওয়া, দৃষ্টিশক্তি লোপ পাওয়া, ‘নিউরোপ্যাথি’, দাঁত ও মাড়ির সমস্যা, হাড় ও হাড়ের জোড়ের সমস্যা এসব কিছুর পেছনেই নীরবে কলকাঠি নাড়ে রক্তে থাকা অতিরিক্ত শর্করা"। এবার জেনে নেওয়া যাক এমন কয়েকটি প্রাকৃতিক খাবারের কথা যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। 
১, মেথি দানা- এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। সকালে উঠে তাই ডায়বেটিস রোগীদের মেথি ভেজানো জল খাওয়া উচিত। 
২, করলা- এটি সকলের খাদ্য তালিকাতেই উপস্থিত থাকা উচিত। বিশেষত ডায়বেটিস রোগীদের জন্য এটি বিশেষ উপকারী। করলা হাইপোগ্লাইসেমিক জৈব-রাসায়নিক পদার্থে সমৃদ্ধ। এই পদার্থ রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখে। 
৩, আমলকি- আমলকিতে রয়েছে ক্রোমিয়াম, যা ইন্সুলিন সংবেদনশীলতায় সাহায্য করে। এটিকে কাঁচা বা রস করে খাওয়া যেতে পারে।  এটি কার্বোহাইড্রেট শোষণে বড় ভূমিকা নেয়। 
৪, বিভিন্ন মশলা- আমরা রান্নায় প্রতিদিনিই প্রায় বিভিন্ন মশলা ব্যবহার করি। কিন্তু আমরা জানিনা কোন মশলা ডায়বেটিসের জন্য উপকারী। হলুদ, সরিষা, দারচিনি, ধনেপাতা- এগুলি ডায়বেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী। 
৫, ছোলার ডাল- এই ডাল শুধুমাত্র ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ভালো তা নয়, যারা এখনও এই রোগে আক্রান্ত হননি তাঁদের জন্যও এই ডাল বিশেষ উপকারী। এই ডাল ডায়বেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়। 
সবশেষে জেনে নেওয়া যাক, আপনি কিকরে বুঝবেন আপনি এই রোগে আক্রান্ত। অর্থাৎ এই রোগের কিছু প্রকাশ্য লক্ষণ,
১.রাতে অত্যধিক প্রস্রাব
২.তৃষ্ণার্ত হওয়ার অনুভূতি বৃদ্ধি
৩.কোনও পরিচিত কারণ ছাড়াই ওজন হ্রাস
৪.ক্ষুধার বৃদ্ধি
৫.ঝাপসা দৃষ্টি
৬.হাত বা পা বা উভয়মধ্যে অসাড়তা বা সংবেদন (পিন এবং সূঁচ অনুভূতি)।
৭.দুর্বলতা বা ক্লান্তি।
১০.ত্বকের শুষ্কতা।
১১.ক্ষত বা ক্ষতের বিলম্বিত নিরাময়।
১২.বারবার সংক্রমণ।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Puja Adhikary

Tags:

Related News