শীত পড়লেই শুকিয়ে কাঠ ত্বক সাথে ফাটতে শুরু করে চামড়া। তাই শীতে বিশেষ নজর দিতে হয় ত্বকের প্রতি। ত্বককে কোমল ও হাইড্রেট রাখতে আমরা ব্যবহার করে থাকি বাজারে পাওয়া বিভিন্ন ক্রীম। তবে কি জানেন ত্বক পরিশীলি এবং হাইড্রেটেড রাখতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিও রয়েছে! তাহলে জেনে নিন -
শীত পড়লেই সকলের বাথরুমে জায়গা করে নেয় নারকেল তেল। মা-ঠাকুমা দের আমল থেকেই এই রীতি চলে আসছে। এটা ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে ময়শ্চারাইজড রাখে। এতে মুখ এবং শরীর কোমল এবং উজ্জ্বল হয়। তবে এই নারকেল তেলে যদি সামান্য হলুদ এবং চিনি মিশিয়ে লাগানো যায় তবে মুখ এবং শরীরের সমস্ত ট্যানিং এবং কালো দাগও সহজেই দূর হয়।
অন্যদিকে শীতকালে ফাটা বা শুষ্ক ঠোঁট কোমল করতে আমরা সকলেই সেই ছোটবেলা থেকে ভেসলিন ব্যবহার করি। এই ঠোঁট ফাটা প্রায় সকলেরই সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা। এ থেকে আরও ভালোভাবে মুক্তি পেতে ভেসলিন এবং টিন্ট মিশিয়ে লাগাতে হবে। তাহলেই ঠোঁট হবে আরও মসৃণ এবং নরম। ঠোঁটের পাশাপাশি এটা গালেও লাগানো যায়। অল্প দিনের ব্যবহারেই ঠোঁটে উজ্জ্বল এবং গোলাপি আভা আসবে।
পাশাপাশি ফেসকে কোমল রাখতে আমরা ব্যবহার করি নানান ক্রীম। তবে যদি এই করিমের বদলে বাড়িতে তৈরি ফেস অয়েল ব্যবহার করা যায় তাহলে তা হবে আরও উপকারী। এটা ফেস ক্রিমের চেয়েও ভাল। ময়েশ্চারাইজ করতে এই তেলগুলিতে প্রাকৃতিক পুষ্টি রয়েছে তা অতুলনীয়। সাথে এটি ত্বককে বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করে। বাড়িতে অ্যাভোকাডো, গোলাপ এবং ল্যাভেন্ডার দিয়ে এই তেল তৈরি করা যায়। এটি ফেস প্রাইমার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
শীতে এগুলোর সাথে দই এবং এক চিমটে হলুদের সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। এটা অবাঞ্ছিত শুষ্কতা থেকে ত্বককে রক্ষা করার দুর্দান্ত উপায়। সাথে ট্যান দূর করে। এমনকী কর্মক্ষমতা এবং সহনশীলতাও বাড়ায়। এরসাথে ফেস রাইস ওয়াটার মিস্ট, শসার কুয়াশা, গ্রিন টি মিস্ট এবং অ্যালোভেরা দিয়ে একটি ফেস মিস্ট তৈরী করে ত্বকে লাগালে ত্বক হাইড্রেটেড এবং সতেজ থাকে। উক্ত উপাদানগুলি প্রাকৃতিক অ্যাস্ট্রিনজেন্ট এবং অনন্য সুগন্ধে ভরপুর।