মুখে তৈরি হওয়া দুর্গন্ধ দূর করতে ঘরোয়া উপায়

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

মানুষের শরীরের পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মধ্যে দাঁত একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ অংশ। দাঁতের পরিচর্চা অনেকই সঠিকভাবে জানেন না। দাঁত থেকে দুর্গন্ধ বেরোলে বা দাঁতের রং ফিকে হয়ে গেলে অনেকেই দুশ্চিন্তায় পরে যান। তবে রয়েছে এমন কিছু উপায় যা মুখের গন্ধ নিমেষে দুর করবে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। মুখ থেকে সুগন্ধ বেরলে তা একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্বকে উন্নত করে। মুখের ভিতরে দুর্গন্ধ বেরোলে তা দুর্বল স্বাস্থ্যের লক্ষণ। দুর্গন্ধ বেরোলে তা দাঁতের ক্যাভিটিতে খাদ্য জমে পচে যাওয়ার সমস্যার দিকে যায়। মুখের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে মেনে চলুন কিছু টিপস -
১. দু'বার ব্রাশ : 
দন্তরোগ বিশেষজ্ঞরা জানান, দিনে অন্ততপক্ষে দুবার ব্রাশ করা প্রয়োজন। দাঁতের উপর পরিষ্কার করার জন্য ব্রাশ করার সঠিক নিয়ম জানা উচিত। তবে শুধু দাঁতের উপরিভাগ নয়, মাড়ির রেখা ও দাঁতের পিছনের অংশেও ব্রাশ বোলাতে হবে। শুধু ব্রাশ করলেই হবে না, সাথে পরিষ্কার রাখতে হবে জিভও।
২. ফ্লসিং আবশ্যক : 
শুধু ব্রাশ করাই যথেষ্ট নয়। ফ্লস ব্যবহার করাও জরুরি। অনেকেই জানেন না দাঁতের সরু ফাঁকে ব্রাশের ব্রিসলস পৌঁছাতে পারে না। সুতরাং, প্রতিদিন ব্রাশ করার সাথে ফ্লস করলে দাঁতের মধ্যে আটকে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও খাবার সরিয়ে ফেলা যায়। সাথে দুর্গন্ধও থাকে না। দুর্গন্ধ তৈরি করে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্য ও সেই খাদ্যের সাহায্যে বংশবৃদ্ধি করা ব্যাকটেরিয়ার।
৩. মুখ শুকনো রাখবেন না : 
মুখের লালা আমাদের মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। মুখগহ্বরে লালা তৈরির প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেলে শ্বাসের দুর্গন্ধের সমস্যা তৈরি হতে পারে। মুখগহ্বরে থাকা ব্যাকটেরিয়া অ্যাসিড তৈরি করে। এই অ্যাসিড দাঁতের ক্ষয় করে। মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যকেও বিঘ্নিত করে। তবে মুখের লালা এই অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। মুখে লালার পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত সুগার ফ্রি চ্যুইয়গাম খাওয়া ভালো। মুখ শুষ্ক হবে না।

৪. ধূমপান ও তামাক সেবন ত্যাগ : 
ধূমপান ও তামাক সেবনের অভ্যেস দাঁতের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। দাঁতের গুণগত মান নষ্ট করে তামাক। মুখেও ভয়ঙ্কর দুর্গন্ধ তৈরি হয়। তামাক ব্যবহারের কারণে মুখের ভিতর তৈরি লালা বাধাপ্রাপ্ত হয়। মুখগহ্বর শুকিয়ে যায়। ফলে মুখ থেকে বাজে গন্ধ বের হয়।
৫. জল পান : প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ জল পান করুন। দেহে জলের অভাব ঘটলে মুখগহ্বরের অ্যাসিড ও ক্ষারের ভারসাম্যে অভাব ঘটে। ফলে দেখা দিতে পারে শ্বাসে দুর্গন্ধ। সময় ধরে জল পান করলে, মুখে আটকে থাকা খাদ্যও জলের সঙ্গে পেটে চলে যায়। মুখগহ্বর থাকে পরিষ্কার। ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধি কমে যায়। এছাড়া মিষ্টি,চা জাতীয় খাদ্য খাওয়ার মিনিট পনেরো পর মুখ ধুয়ে নিন। মুখ ধুতে না পারলে জল পান করতে পারেন অল্প অল্প। তাতেও মুখগহ্বর পরিষ্কার থাকবে। দূরে থাকবে শ্বাসের দুর্গন্ধও।
৬. স্বাস্থ্যকর খাদ্য : বেশ কিছু রোগের মূল কারণ হল অস্বাস্থ্যকর খাদ্যের অভ্যাস । অস্বাস্থ্যকর খাদ্য যেমন চিপস, মিষ্টি, কোল্ড ড্রিংকস, জাঙ্কফুড খাওয়ার অভ্যেস স্বাস্থ্যের ক্ষতি করার সাথে মুখগহ্বরের হালও খারাপ করে। তাই নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণের দিকে নজর দিন। খাদ্যতালিকায় রাখুন ফল, শাকসব্জি। শাকসব্জি ও ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ, যা নানা রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। এমনকি হজমশক্তিও বাড়ায়। ফলে মুখের দুর্গন্ধ কেটে যায় ও স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
৭. ভিটামিন সি এর প্রয়োজনীয়তা :
নিয়মিত ভিটামিন সি যুক্ত নানা ফল খান। যেমন পাতিলেবু, কমলালেবু, মুসাম্বি ইত্যাদি। এই ধরনের ফলে থাকে ভিটামিন সি, যা মুখগহ্বরের স্কার্ভি রোগ দূরে রাখে। ফলে মুখে দুর্গন্ধও হয় না।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Papri Chakraborty

Related News