এবার আদালতের রোষের মুখে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। গতকাল কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে একটি মামলার শুনানি ছিল। সেখানে বিচারপতি কার্যত কড়া ভাবেই বলেন, “এবার আইন মেনে পরীক্ষা না হলে পরীক্ষা বন্ধ করে দেব”। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নম্বর ৮২ ধরা হয়েছিলো, কিন্তু ২০১৪ সালের ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। এর ভিত্তিতেই আদালতে একটি মামলা দাখিল হয়েছে, এদিন সেই মামলারই শুনানি ছিল। রাজ্যের শিক্ষা দফতরের ক্ষেত্রে একের পর এক গাফিতলির অভিযোগে রীতিমতো মর্মাহত বিচারপতি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের প্রার্থীদের দাবি ছিল, ২০১৭ সালের প্রার্থীদের উত্তীর্ণ নম্বর যদি ৮২ ধরা হয় তাহলে তাঁদেরও সেই ভিত্তিতেই উত্তীর্ণ করতে হবে। যদিও পর্ষদের নিয়ম বলছে টেট পাশ করার জন্য অন্তত ৫৫ শতাংশ নম্বর পেতে হয়। কিন্তু ৮২ নম্বর পেলে শতাংশের হিসাবে হচ্ছে ৫৪.৭ শতাংশ। ২০১৪ সালের প্রার্থীদের সেই আবেদনে শিলমোহর দিয়েছে আদালত। আর এবার সেই মামলার শুনানি করতে গিয়েই আবারও কড়া বার্তা দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আগামী শুক্রবারের মধ্যেই ২০১৪ সালের প্রার্থীদের নম্বরের তালিকা প্রকাশ করবে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, অন্যদিকে গত সোমবার ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের নম্বর প্রকাশ করেছে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেখানে টেট উত্তীর্ণদের প্রাপ্ত নম্বর ধার্য হয়েছে ৮২। তবে বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, আদালত যদি আইন মেনে পরক্ষা বন্ধের নির্দেশ দেয় তাহলে সেটা পর্ষদের পক্ষে খুবই খারাপ ব্যাপার হবে।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image