#Pravati Sangbad Digital Desk:
মেঝেতে বা মাটিতে বসে খাওয়া সমগ্র ভারতবাসীর আদি অভ্যেস। তবে সময় ও যুগের পরিবর্তনের সাথে বদলেছে সেসব রীতি। মাটিতে বসে খাওয়ার জায়গায় স্থান পেয়েছে চেয়ার টেবিল। তবে চিকিৎকদের মতে পুরোনো দিনের এইসব অভ্যেসই ছিল সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি। কারণ মাটিতে বসে খাওয়ার অভ্যেস স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং আমরা অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাই। কিভাবে? সেই উত্তর পেতে জেনে নিন বিস্তারিত
১. মানসিক চাপ ও ক্লান্তি দূর হয়-
দিনের শেষে সারাদিনের ক্লান্তি ও মানসিক চাপ দূর করতে মেঝেতে বসে খাওয়ার অভ্যেসের বিকল্প নেই। কারণ এই ভঙ্গিতে আমরা হাঁটু ভাজ করে অর্থাৎ পদ্মাসনের ভঙ্গিতে বসি। যার ফলে অ্যাবডোমেনের মাসেলে ও পেটের তলদেশে টান পড়ে। যা মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়।
২. হজম ক্ষমতা বাড়ে-
এই অভ্যেস হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ খাওয়ার সময় মাটিতে রাখা থালা থেকে সামনের দিকে পিঠ ঝুকিয়ে খাওয়ার নিয়ে সোজা হয়ে খেতে হয়। বার বার গ্রাস তোলার সময় এই ভঙ্গি করলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়।
৩. হার্ট ভালো রাখে-
হার্টের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে আজই মাটিতে বসে খাওয়ার অভ্যেস করুন। কারণ পদ্মাসনের ভঙ্গিতে বসে থাকার ফলে শরীরে পেশি শক্তিশালী হয়। রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা ঠিক রাখে। হার্টের চারপাশে চাপ পরতে দেয় না। হৃদরোগের সমস্যা কমায়।
৪. ওজন কমায়-
ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ এই ভঙ্গিতে বসে খেলে অ্যাবডোমন পেশি তে চাপ পড়ে যা পেটের মেদ ঝরাতে কার্যকরী। এছাড়াও এই ভঙ্গিতে অনেকটা খাওয়া সম্ভব হয়না তাই বাড়তি খেয়ে ফেলার ভয়ও থাকেনা।
৫. বাতের ব্যাথা দূর করে-
জয়েন্ট পেন বা বাতের ব্যাথা কমাতে এই অভ্যেস কার্যকরী। কারণ এই অভ্যেসে পা, হাঁটু ও কোমর এই তিন অংশই বাঁকাতে হয় তাতে ব্যায়াম ও হয়ে যায়। এছাড়াও হিপ সন্ধি, হাঁটু ও গোড়ালি নমনীয় করে তোলে।
৬. এছাড়াও এই অভ্যেস দেহের গঠন ও শিরদাঁড়া সোজা রাখে। সেই সঙ্গে স্পাইনাল কর্ডের ক্ষমতা বাড়ায়। যা কোমর এবং কাঁধের যন্ত্রণা দ্রুত কমতে সাহায্য করে। এই কারণেই তো যারা সারাদিন চেয়ারে বসে কাজ করে, তাদের সুযোগ পেলেই মাটিতে বসে খাওয়া উচিত।