মঙ্গলবার রাতেই কলকাতা এসেছেন জাতীয় কংগ্রেসের গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেরিও। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
পূর্ব ভারতের ত্রিপুরার পর ভারতের পশ্চিম-উপকূলের রাজ্য গোয়ার দিকে নজর দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচনে মোদীকে দিল্লির গদি ছাড়া করতে এখন থেকেই আদাজল খেয়ে ময়দানে নেমেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূলের জাল বিস্তার শুরু করে দিয়েছে।
আরব সাগরের পাড়ে জোড়া ফুল ফোটাতে তৎপর তাঁরা। আগামী বছর ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় ভোট। সেখানেই আসন দখলের লক্ষ্যে এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারই প্রথম ধাপ হিসাবে আজ তৃণমূলে যোগ দিলেন গোয়ার একাধিক নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বড় নাম গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেরিও। একই সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিলেন গোয়ার অন্যতম পরিচিত মুখ লাভু মামলেদার। যোগ দিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক এন শিবদাস। যিনি সাহিত্য আকাডেমি পুরষ্কার প্রাপক। যোগ দিয়েছেন রাজেন্দ্র শিবাজী কাকোদর। ইনি গোয়ার অন্যতম পরিচিত মুখ পরিবেশ আন্দোলন নিয়ে৷ এদিন সকলেই প্রথমে নবান্নে যান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে। সেখানে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এরপর ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে সাংবাদিক বৈঠক করে হয় আনুষ্ঠানিক যোগদানপর্ব। গোয়ার ৭ বারের বিধায়ক ও দু বারের মুখ্যমন্ত্রীর তৃণমূলে যোগদান ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরাট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
সোমবারেই গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেরিও (Luizinho Falerio) ইস্তফা দিয়েছেন কংগ্রেসের বিধায়ক পদ থেকে। গোয়ার বিধানসভায় গিয়ে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেই ফালেরিও গলায় শোনা গিয়েছিল মমতার স্তুতি। সেখান থেকেই তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়ে যায়। পদত্যাগের পর তিনি বলেন, ‘মমতাকে চাইছে গোয়া।” একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “মমতা হলেন মহিলা উন্নয়ণের কাণ্ডারী। তিনি স্ট্রিটফাইটার। গোয়াতে তাঁকে প্রয়োজন। মমতা একাধিক বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। BJP-কে ডিরেক্ট চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন তিনি। মমতাকে অনুরোধ জানাবো, গোয়ায় এসে তিনি দায়িত্ব নিন।”
ইতিমধ্যেই গোয়ায় সংগঠন বিস্তারের জন্যে রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে গিয়েছেন। সেখানে তাঁদের পদার্পণের পরেই তৃণমূলের গোয়া টুইটার হ্যান্ডলে বলা হয়েছে ”রাজ্যের মানুষের উন্নয়নের জন্য দায়বদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেস। এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারবেন এমন নেতাই বেছে নেব। বিশ্বাসযোগ্যতাই আমাদের নেতা বাছাইয়ের মানদণ্ড।”