করোনার উৎস জানতে গুনতে হবে আর কত দিন!

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

গত দু'বছরে 52 লক্ষেরও বেশি মৃত্যু ঘটেছে মহামারীর কারণে। ঠিক দুবছর আগে এই সময়ে চীনের উহান এই ধরা পড়েছিল এক রহস্যময় জ্বরের সংক্রমণ। যাতে ধীরে ধীরে গোটা বিশ্ব জুড়েই সংক্রমিত হয়েছিল। সংক্রমিত হয়েছিল কয়েক কোটি মানুষ। বিজ্ঞানীদের মতে কোন বনাঞ্চল থেকে এই ভাইরাসটির জন্ম। সার্স কোভ নামক ভাইরাসটি বাদুড়ের শরীর থেকে সরাসরি মানুষের শরীরে আসে। অথবা বাদুড় থেকে অন্য কোন প্রাণীর দ্বারা মানুষের কাছে সংক্রমিত হয় এই ভাইরাস এমনটাই ধারণা করেন বিজ্ঞানীরা। কোন খাই উত্তর এখনো পর্যন্ত কেউই পাইনি এইদিকে সংক্রমণের চিত্র ভয়ঙ্কর। কেউ কেউ মনে করে চীনের গবেষণাগার থেকে ছড়িয়েছে এমন ভাইরাস। ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের মতে এই রহস্য কোন দিনই জানা যাবে না। যতদিন যাবে ভাইরাস নিজের চরিত্র বদলাতে থাকবে, হইত এই ভাবেই একদিন পরিবেশের সাথে মিশে যাবে। যদিও এর জবাব এখনও নেই বিজ্ঞানীদের কাছে।

উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী স্টিফেন গোল্ডস্টেন এর মতে, “ কোভিড ১৯ ভাইরাস যে গবেষণাগার থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল এই রকম কোন প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। তবে গবেষণাগার থেকে ভাইরাস ছড়ানোর এই তথ্য অনেকেরই জানা এই বছরের আগস্ট মাসে সেল পত্রিকাই কোভিড সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছিল, যার মূল কাণ্ডারি বিজ্ঞানী স্টিফেন গোল্ডস্টেন সহ আরও ২০ জন বিজ্ঞানী। তাতে জুনোটিক বা প্রাণীর শরীর থেকে মানব দেহে প্রবেশ করেছে এই কথাটির ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল। অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞানী মাইকেল ওরোবে এই জুনোটিক সংক্রমনেরে ওপর বারবার জোর দিয়েছেন। তবে তার মতে, “ কোন তত্বই অসম্ভব নয়, সব কিছুই ঘটে থাকতে পারে জীব বিজ্ঞানী মাইকেল ওরোবে নভেম্বর মাসে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন, তাতে তিনি বলেন চীনের উহান প্রদেশের একটি পণ্যের বাজার থেকে এই ভাইরাসের আত্মপ্রকাশ। সেই বাজারে জীবিত বিভিন্ন ধরনের জীব বিক্রি করা হয়, তাতে বিষধর সাপ থেকে শুরু করে আরশোলা আরও অনেক কিছুই আছে। বিজ্ঞানী ওরোবের মতে গবেষণাগার থেকে ভাইরাসের আবির্ভাবের তথ্য একপ্রকার মূল ঘটনা থেকেই ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের নজর ঘুরিয়ে দিয়েছিল। তবে বিশ্বের কোন বিজ্ঞানী বা ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের কাছে জোর দিয়ে প্রমাণ করার মতো কোন তথ্যই নেই। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভাইরাস উত্থানের খোঁজ আনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন তার বিশস্ত গোয়েন্দা দলের ওপর কিন্তু এখনও পর্যন্ত তারা কিছুই জবাব দিতে পারেনি।

বিগত দুই বছরে রীতিমত ধ্বংসলীলা চালিয়েছে এই মারণ ভাইরাস। তবে চীনে নতুন করে সংক্রমণের তথ্য কিন্তু আর পাওয়া যায়নি। অনেকে আবার ভাইরাসকে জৈব বোমা বলেও আখ্যায়িত করেছেন, তাদের মতে চীন কি তাহলে গোটা বিশ্বে একাই রাজ করবে ভেবে এই রকম পন্থা অবলম্বন করেছিল? যদিও সেই প্রমাণ এখনও মেলেনি। ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে করোনা ফলে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান হিসাব না করাই ভালো। এর মধ্যেই দুটি ঢেউ পেড়িয়ে এসেছে ভারত, এখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে হলেও মাথা চারা দিয়েছে আরও এক নতুন প্রজাতি ওমিক্রন। যার জন্ম মূলত দক্ষিণ আফ্রিকাই, আর সেই ভাইরাস ইতিমধ্যেই ভারত ভ্রমনেও চলে এসেছে। ভারতে প্রায় ১১ জনের শরীরে ধরা পড়েছে করোনার এই নতুন প্রজাতি ওমিক্রন।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Sagarika Chakraborty

Related News