#Pravati Sangbad Digital Desk:
এতদিন শুধু বিবাহিত নারীরা গর্ভপাত করতে পারতেন কিন্তু এখন অবিবাহিত নারীরাও গর্ভপাত করতে পারবে বলে রায় দিলো সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, গর্ভপাতের বিষয়ে অন্য কারুর মতামত ছারাই মেয়েরা সিদ্ধান্ত নেবেন। বিবাহিত নারীর মতো অবিবাহিতরাও এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। সু্প্রিম কোর্টের মতে, গর্ভপাতের ক্ষেত্রে বিবাহিত অবিবাহিতদের মধ্যে ভেদাভেদ অসাংবিধানিক। মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগনেন্সি অ্যাক্ট অনুযায়ী, ২০ থেকে ২৪ সপ্তাহের মধ্যে বিবাহিত-অবিবাহিত সমস্ত মহিলারাই গর্ভপাত করাতে পারবেন। একইসঙ্গে ২০২১ সালের মেডিক্যাল টার্মিনেশ অফ প্রেগনেন্সি অ্যাক্ট-এ সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অবিবাহিত মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়ে যুগান্তকারী রায় আদালতের। এতদিন MTA Act-এ গর্ভাবস্থার ২০-২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভপাত করাতে পারতেন বিবাহিত মহিলারা। কিন্তু অবিবাহিতদের তা করতে অনুমতি দিত না আইন। শীর্ষ আদালত এদিন পর্যবেক্ষণে জানায়, ''বর্তমান সময়ের চাহিদা অনুযায়ী বিয়ের থেকে একটা মানুষের মৌলিক অধিকার অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। সমাজের বাস্তবিক ভাবনাকে মাথায় রেখে আইনের পরিবর্তনের দরকার রয়েছে। দেশে বর্তমানে আইনি বাধার কারণেই ৬০ শতাংশ গর্ভপাত বেআইনি ও অসুরক্ষিত পথেই হয়।''শুনানিতে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানায়, লিভ ইন রিলেশনশিপে থাকা অবিবাহিত মহিলাকে গর্ভপাতের অধিকার থেকে বাইরে রাখা অসাংবিধানিক। সেক্ষেত্রে অবিবাহিত-বিবাহিত উভয়েরই সমান অধিকার। সম্প্রতি ২৪ সপ্তাহ গর্ভধারণের পর গর্ভপাতের আবেদন করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ২৫ বছর বয়সী এক অবিবাহিত মহিলা। কিন্তু মহিলার সেই আবেদন বাতিল করে দেয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার নেতৃত্বাধানী ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, বর্তমান যে গর্ভপাত সংক্রান্ত যে আইনটি আছে তা অবিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। বর্তমানে মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি, ২০২১ আছে তা কেবল যৌন নিপীড়ন, ধর্ষণ শারীরিক প্রতিবন্ধী নারী, মানসিক প্রতিবন্ধী, মানসিক অসুস্থ নারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অন্যদিকে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এ ক্ষেত্রে ২০২১ সালের ‘মেডিকেল টার্মিনেশন অব প্রেগন্যান্সি ল’ সংশোধনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন আদালত। এছাড়া, ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। গর্ভপাতের ক্ষেত্রে বৈবাহিক ধর্ষণকেও ধর্ষণ বলে মন্তব্য করেন আদালত। বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, বিবাহিতারাও যৌন হেনস্থা বা ধর্ষণের শিকার হতে পারেন। বিনা সম্মতিতে স্বামীর আচরণে একজন নারী অন্তঃসত্ত্বা হতে পারেন। প্রসঙ্গত, ভারতে বৈবাহিক ধর্ষণকে আইনি অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয় না। সেই নিরিখে শীর্ষ আদালতের এই পর্যবেক্ষণ উল্লেখযোগ্য।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image