স্ত্রীকে তাজমহলের মত বাড়ি উপহার দিলেন এক ভারতীয় ব্যবসায়ী

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

মুঘল সামাজ্যের অন্যতম সেরা সৃষ্টি তাজমহলকে যুগ যুগ ধরে শ্বাশত প্রেমের নির্দশন হিসেবে গণ্য করা হয়। ভারতের আগ্রায় যমুনা নদীর তীরে সাদা মার্বেল পাথরের তৈরি সমাধি সৌধটি ১৬৩২  সাল থেকে শুভ্রতা ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে প্রেমের প্রতীক হিসেবে। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার প্রিয়তম পত্নী মমতাজ মহলের মৃত্যুর পর তার স্মরণে নির্মাণ করেছিলেন তাজমহল। সেই থেকে প্রেমের প্রতীক হিসেবে বিশ্বজুড়ে তাজমহলের নাম উচ্চারিত হয়ে আসছে।

অমর প্রেম। ঠিক যেন শাহজাহান–মমতাজ। মধ্যপ্রদেশের এক ব্যক্তি ভালবাসার নিদর্শন হিসেবে স্ত্রীকে উপহার দিলেন তাজমহল এর ‘‌রেপ্লিকা’‌। একেবারে তাজমহলের মত দেখতে বাড়ি ওই ব্যক্তি উপহার দিয়েছেন তাঁর স্ত্রীকে। তবে মৃত নয়, স্ত্রীর জীবনদশাতেই  তাকে ‘তাজমহল’ বাড়ি উপহার দিলেন এই ব্যক্তি।


 ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের মধ্য প্রদেশের বুরহানপুরের বাসিন্দা আনন্দ চোকসে নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তাজমহলের রেপ্লিকা উপহার দেন। 

আনন্দ চোকসে সব সময় ভাবতেন শাহজাহান পত্নী মমতাজ যে বুরহানপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন সেখানে কেন তাজমহল নির্মাণ করা হল না। এই বিষয়টি সব সময় তাকে পীড়া দিত।


স্ত্রীর জন্য তাজমহলের আদলের বাড়ি নির্মাণের পেছনে তার সেই ভাবনাটাও ভূমিকা রেখেছিল। 

অবশ্য  আনন্দ বাবুর তাজমহল কোনো সমাধি সৌধ নয়। জীবিত স্ত্রীর সঙ্গেই এখানে বাস করতে চান তিনি। বাড়ির ভিতরের কারুকার্যের জন্য বাংলা ও ইন্দোরের শিল্পীদের তিনি আনিয়েছিলেন। একেবারে তাজমহলের মতোই টাওয়ার। ২৯ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট বাড়িটির যাবতীয় আসবাব এসেছে মুম্বই থেকে। বাড়িটিতে রয়েছে একটি বড় হল ঘর। একতলা ও দু’‌তলায় রয়েছে দুটি করে বেডরুম। রয়েছে লাইব্রেরী ও যোগা রুম। রয়েছে আলোকসজ্জাও। যাতে রাতের অন্ধকারে একদম তাজমহল মনে হয়। 


 আর আসল তাজমহলের মতোই অন্ধকারে আনন্দের তাজমহলও দ্যুতি ছড়াবে। কারণ বাড়িতে আনন্দ আলোর ব্যবহারে এনেছে অভিনবত্ব। ২০১৮ সালে বাড়ির নির্মাণ শুরু করেছিলেন তিনি। তিন বছর পর বাড়িটির নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।


এর আগে তাজমহলের আদলে আরও একটি নতুন তাজমহল তৈরি করতে চলেছেন উত্তরপ্রদশের অবসরপ্রাপ্ত পোস্টমাস্টার। নিজের প্রিয়তমা স্ত্রীর স্মৃতিতেই নতুন তাজমহল বানাচ্ছেন তিনি। ফইজুল হাসান কাদ্রি, উত্তরপ্রদেশের কাসের কালান গ্রামের বাসিন্দা। ১৯৫৩ সালে পরিণয়ে আবদ্ধ হন তাজামুল্লির সঙ্গে।


২০১১ তে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তাঁর স্ত্রী তাজামুল্লি। নিজের 'বেগমের' স্মৃতির উদ্দেশ্যেই মিনি তাজমহল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তাজমহল বানাতে খরচ অনেক, তাই বিক্রি করে দিয়েছিলেন স্ত্রীর গহনা। বিক্রি করেছেন জমিও। মিনি তাজমহল বানাতে খরচ হবে ১৮ লক্ষ টাকা। বাকি টাকা জোগাড় করতে না পারায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল নির্মাণ কাজ। কাদ্রি সাহেবকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসছিলেন অনেকেই, কিন্তু সাহায্য নিতে অস্বীকার করেছিলেন তিনি।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Sangita Rana

Related News