#Pravati Sangbad Digital Desk:
বাড়িতে বেশ কয়েকদিন আলু কিনে জমিয়ে রাখলে তার গায়ে আসতে আসতে অঙ্কুর বেরোতে শুরু করে।পুষ্টিবিদদের মতে,আলুতে সোলানাইন ও ক্যাকোনাইন নামক গ্লাইকোঅ্যালকয়েড থাকে।যদিও এই যৌগগুলি টম্যাটো এবং বেগুনের মধ্যেও থাকে। উল্লেখ্য, এই যৌগগুলিতে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ থাকায়, সামান্য মাত্রায় শরীরে গেলে তা স্বাস্থ্যকর। এমনকি রক্তচাপ ও শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে এই যৌগগুলি। কিন্তু বেশি মাত্রায় শরীরে গেলেই বিষক্রিয়া হতে পারে।
উল্লেখ্য, আলুতে অঙ্কুর গজাতে শুরু করলে এর মধ্যে গ্লাইকোঅ্যালকয়েডগুলির মাত্রা বাড়তে থাকে, তখন সেই আলু খেলেই শরীরে বিষক্রিয়া হতে পারে।অনেক বাড়িতে রান্নার সময়ে অঙ্কুর কেটে ফেলে দিয়ে আলুর বাকি অংশটা দিয়ে রান্না করেন। তবে এটিও নিরাপদ নয়। কারণ সোলানাইন অঙ্কুর সহ গোটা আলুতেই তৈরি হয়।যার ফলে সেই বাকি আলু পেটে গেলেই শরীরে বিষক্রিয়ার শিকার হতে হয় মানুষকে।
প্রসঙ্গত, এই ধরণের আলু নিয়মিত খেলে আন্ত্রিকের আশঙ্কা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে,অনেকের মাথাব্যথা শুরু হয়।এমনকি বিপুল পরিমাণে এই আলু গেলে কেউ কোমায় চলে যেতে পারেন বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে শরীরে সোলানাইন গেলে স্নায়ুর ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। অন্তঃসত্ত্বাদের এই খাবার না খাওয়াই ভালো।
স্পষ্টতই খুব বেশি আলু কিনে তা ঘরে রেখে দেবেন না। পাশাপাশি একটি আলুতে পচন ধরতে শুরু করলে সেটি ফেলে দিন। না হলে সব আলুতেই সোলানাইন ও ক্যাকোনাইন উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।সেই কারণে সবসময় পরিষ্কার তাজা আলুই খাওয়া শ্রেয়।