গ্যাস অম্বলের ভয়ে মুলোর উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন? ভুল ভাঙিয়ে জেনে নিন আসল তথ্য

দেখতে দেখতে শীত একেবারে দোরগোড়ায়। আর শীতকাল মানেই বাজারে হরেক সবজির সমাহার। আর শীতকালীন এই সব সবজির মধ্যে অন্যতম একটি হলো মুলো। সবজিটি অনেকেই পছন্দ করেন না আবার অনেকের এতই প্রিয় যে তরকারির পাশাপাশি কাঁচা সাদা মুলো স্যালাড হিসাবেও খান। তবে গ্যাস বদহজমের ভয়ে অনেকেই এড়িয়ে চলেন সাধের এই সবজি। কিন্তু আদেও তা কী সত্যি? চিকিৎসকদের মতে এটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। উপরন্তু সাধারণ এই সবজিতে রয়েছে অসাধারণ কিছু গুণ। জেনে নিন এর স্বাস্থ্য উপকারিতা। 

১. হজমের সমস্যা দূর করে-

অনেকেই ভাবেন মুলো খেলেই বদহজম গ্যাসের সমস্যা বাড়ে। কিন্তু তা একেবারেই ভুল। বরং মুলো আপনাকে যেকোনো হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। যাদের যকৃত বা লিভারের সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্য মুলো উপকারী। 

২. কিডনি ভালো রাখে ও শরীরকে বিষমুক্ত রাখে-

মুলো খেলেই গ্যাস হয়, এই কথা সত্যি হলেও তা আখেরে ভালোই করে। পুষ্টিকর মুলো শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। তাই এটিকে প্রাকৃতিক ক্লিঞ্জারও বলা হয়। এছাড়াও এটি কিডনির যাবতীয় সমস্যা দূর করে ও এটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের জন্য এটি ওষুধের মত কাজ করে। 

৩. হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে-

দেশে দিনে দিনে যে হারে হার্টের সমস্যা বাড়ছে তাতে করে নিজেকে সুস্থ রাখতে আজ থেকেই ডায়েটে রাখুন মুলো। এতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন হার্টের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এছাড়াও কমায় হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা। 

৪. ওজন কমাতে সাহায্য করে-

অতিরিক্ত ওজনের কারণে যারা চিন্তিত তারা আজ থেকেই ডায়েটে রাখুন মুলোর স্যালাড। কারণ এতে থাকা উপাদান অল্পতেই পেট ভরিয়ে দেয়। যা বার বার খিদে পাওয়ার সম্ভবনা কমে যায়। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। 

৫. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে-

বর্তমানে এই মারণ রোগ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে নিয়মিত খান মুলো। এতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন ও ভিটামিন সি শরীরের অন্দরে ক্যান্সার সেলেরে জন্ম এবং বৃদ্ধির আটকায়। বিশেষ করে কোলন, ইন্টেস্টিনাল,স্টমাক এবং কিডনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায়। 

৬. ব্লাড প্রেসার কমায়-

ব্লাড প্রেসার কিংবা হাই বিপির সমস্যায় যারা ভুগছেন তাঁদের জন্য মুলো খুবই উপকারী। এতে থাকা অ্যান্টি-হাইপারটেনসিভ উপাদান উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। 

৭. এছাড়াও মুলোয় থাকা উপাদান শরীরে পটাশিয়াম, সোডিয়াম অনুপাতের ভারসাম্য বজায় রাখে, জন্ডিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে পাশাপাশি রক্তে ইনসুলিনের মাত্ৰা নিয়ন্ত্রণে রাখে।