উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্তদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে তেলের আকাশছোঁয়া দাম। করো না পরিস্থিতি বিগত দুবছর ধরে পেট্রোল এবং ডিজেলের শুল্ক বাড়িয়েছই গেছে কেন্দ্র সরকার। তবে তাতে লাভ হয়েছে তা ছিল না স্পষ্ট। তবেই রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরীর দেওয়া জবাবে তা কিছুটা স্পষ্ট হয়। তার কথা অনুযায়ী ২০১৬ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত তেলের উৎপাদন শুল্ক থেকে ১১.৩৪ লক্ষ কোটি টাকা আদায় হয়েছে তবে তা থেকে রাজ্যের কোষাগারে কত গেছে তা নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু তিনি জানাননি।
এদিন তিনি জানান ২০২০-২১ অর্থাৎ করোনা পরিস্থিতিতে তেলের শুল্ক থেকে আদায় করা হয়েছে প্রায় ৩.৭২ লক্ষ্য কোটি টাকা। যা আগের অর্থ বর্ষের আদায় করা শুল্কের দ্বিগুন এর থেকেও বেশি। রাজ্যগুলির ভাগের থেকে মাত্র ১৯৯৭২ কোটি টাকা গেছে।
সোমবার বক্তব্য তিনি এও জানান ২০২০-২১ অর্থবর্ষে শুল্ক পাওয়া গেছিল ৩.৭২ লক্ষ্য কোটি টাকা। এরমধ্যে রাজ্যকে দেওয়া হয়েছে ২০০০০ কোটি টাকারও কম।
২০১৯-এ অর্থাৎ অতিমারির আগে লিটার প্রতি পেট্রোল এবং ডিজেলের উৎপাদন শুল্ক ছিল ১৯.৯৮ টাকা এবং ১৫.৮৩ টাকা। পরের বছর তা বাড়তেই থাকে এবং তা দাঁড়ায় ৩২.৯০ ও ৩১.৯০ টাকাতে। এই নিয়ে চরম সমস্যার সম্মুখীন হয় সাধারণ মানুষেরা। দুর্ভোগের কারনে তারা না না সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা সুযোগ পেলে প্রতিবাদও জানায়। দীপাবলির আখে অবশ্য ৫ টাকা ও ১০ টাকা দাম কমানো হয়।