এতদিন প্রেগন্যান্সির জন্য ভ্যাকসিন নিতে পারেননি নুসরত। অন্যদিকে তাঁর জন্যই অপেক্ষা করছিলেন প্রেমিক যশ। এদিন একইসঙ্গে কলকাতা পুর নিগম থেকে নিগম থেকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেন তাঁরা। এমনকি সেই ছবি দু' জনেই শেয়ার করেছেন ইন্সটাতে। মা হওয়ার পর এই প্রথম দুই জুটিকে একসঙ্গে ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্রে দেখা গেল । কেয়ারিং ফ্রেন্ডকে নিয়ে ভ্যাকসিন নিতে গেলেন টলিসুন্দরী। ছেলে ঈশানের জন্মের বার্থ সার্টিফিকেটের খোঁজ নিতে কলকাতা পুরসভায় যান তাঁরা। এমনকি কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক ববি হাকিমের ঘর থেকে বের হতে দেখা যায় জুটিকে।
হঠাত করে সবাইকে চমকে কলকাতা পুরসভা পৌঁছে যান সাংসদ নুসরত। সঙ্গে যান যশ। জল্পনার একেবারে শীর্ষে থাকা দুই জুটি হঠাত কেন পুরসভাতে? তা নিয়ে জোর জল্পনা তৈরি হয়। তবে পুরসভাতে ঢুকে সরাসরি পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমের চেম্বারে পৌঁছে যান দুজনে। দীর্ঘক্ষণ তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়। প্রথমে তাঁদের মধ্যে কি নিয়ে বৈঠক তা জানা যায়নি। তবে জানা গিয়েছে মূলত বাচ্চার বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি নিয়ে আলোচলা হয়েছে। এদিন হলুদ টপ এবং ডেনিম জিন্সে খোলা চুলে কলকাতা পুরসভার দেখা যায় নুসরাতকে। সঙ্গে ছিলেন যশ দাশগুপ্ত। সাদা টিশার্টের তিনিও নুসরাত এর পিছনে পিছনে প্রবেশ করেন পুরসভার ভিতরে তারপর সোজা তারা দুজনে গিয়ে টিকা নেন। তারপর দেখা করেন পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে।
সন্তানের বার্থ সার্টিফিকেটে বাবার নাম নয়, শুধুমাত্র মায়ের নাম রাখতে চান নুসরত। সেজন্য কী করতে হবে, তা জানতে কলকাতা পুরসভায় যান সাংসদ- অভিনেত্রী নুসরত জাহান। আর এতে প্রশ্ন উঠছে যশ নিয়ে চলা সমস্ত জল্পনা কি তাহলে এখানে ইতি? শুধু বন্ধু হিসাবে নুসরতের পাশে সে! তবে পুরসভাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন যশ। কেন হঠাত পুরসভাতে আসা? সেই বিষয়ে অভিনেতা জানিয়েছেন, ‘‘টিকা নিতেই এখানে আসা। আর অন্য কোনও কারণ নেই।'' এর থেকে বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি। এমনকি ফিরহাদের সঙ্গে তাঁদের কি আলোচনা হয়েছে এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি। তবে জানা গিয়েছে, পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগেও যান তাঁরা। সেখানে বিস্তারিত ভাবে সমস্ত বিষয় জানার চেষ্টা করেন।
চলতি সপ্তাহে বুধবার মা হওয়ার পর প্রথম, একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন অভিনেত্রী সাংসদ নুসরাত জাহান। সেদিন তাঁর মুখে শোনা যায়, তিনি যশের সঙ্গে ভালোভাবেই মাতৃত্ব অনুভব করছেন। তবে তাঁর পুত্রের বাবা কে? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাবা কে তা বাবা’ই জানে। মা হওয়ার পর প্রথম প্রকাশ্যে এসেই ছেলের পিতার পরিচয় নিয়ে মুখ খুলেন অভিনেত্রী নুসরত জাহান। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে আরেক কাণ্ড করে বসলেন নুসরতের প্রাক্তন লিভ ইন পার্টনার নিখিল জৈন। নুসরতের বান্ধবীকেই নিজের ব্র্যান্ডের ফেস বানিয়ে ফেলেছেন নিখিল। এই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে টলিপাড়ায়। কারণ নুসরত নিখিলের কোম্পানির ব্র্যান্ড ফেস হওয়ার পড়েই তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তার পরের কাহিনী ইতিহাস। নিখিল তাঁর কোম্পানির মুখ হিসেবে নুসরতের পরম বন্ধু শ্রাবন্তিকেই বেছে নিলেন। শোনা যাচ্ছে নিখিল নাকি শ্রাবন্তীর সঙ্গে চুক্তি সই করেছেন। অর্থাৎ এতদিন নুসরত ছিলেন তাঁর কোম্পানির ব্র্যান্ডের মুখ। এবার শ্রাবন্তী নিলেন সেই জায়গা। অভিনেত্রী নিজেই ইনস্টা পোস্টে সেই ছবি শেয়ার করেছেন। ছবিতে তাঁকে বেগুনী রঙের লেহেঙ্গায় দেখা গিয়েছে মোহময়ী রূপে।
মা হওয়ার পর গতকালই প্রথম প্রকাশ্যে এসেছিলেন নুসরত জাহান।একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে নুসরতকে বেশ খোস মেজাজেই দেখা গিয়েছে। নুসরতকে ঘিরে সকলের একই প্রশ্ন ছিল ঈশানের পিতার নাম কি। সকলকেই নুসরত যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে জানিয়েছেন, তিনি এবং যশ সুন্দর অভিভাবকত্ব কাটাচ্ছেন ঈশানের সঙ্গে। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন মা হয়ে জীবনটা একেবারে বদলে গিয়েছে। একেবারে অন্য অনুভূতি নিয়ে তিনি এখন রয়েছেন। ছেলের নাম নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। কয়েকদিন আগেই পার্ক স্ট্রিটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। সেসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা যশ। বাড়ি যাওয়ার সময়ও যশ তাঁকে সঙ্গে করে নিয়ে যান। তারপর থেকেই ঈশানের পিতৃপরিচয় নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছেন।
নুসরতের সন্তানের পিতা কে এই নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই উত্তাল টলিপাড়া। অভিনেত্রী কিন্তু দশ মাসএই নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। গতকাল মুখ খুলেছিলেন ঠিকই কিন্তু পিতার পরিচয় স্পষ্ট করেননি। এদিকে আবার নুসরতের এই একক লড়াইয়ের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন একাধিক টলি পাড়ার তারকা। বাংলাদেশের প্রতিবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিন নুসরতের সমর্থনে দীর্ঘ পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন শিশু কার ঔরসজাত সেটা বড় কথা নয়, যিনি গর্ভে ধারন করেন সন্তান তাঁরই। টালিগঞ্জের একাধিক শিল্পী নুসরতের এই সাহসিকতাকে কুর্নিস জানিয়েছেন।
নিখিল জৈনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ২০১৮ সালে লোকসভা ভোটের পর। তুরস্কে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে ফিরে এসে কলকতায় বড় করে রিসেপশন দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। গতবছরের গোড়া থেকেই শোনা যায় নিখিলের সঙ্গে থাকছেন না নুসরত। তিনি আলাদা থাকতে শুরু করেছেন। পরে নুসরত জানান, নিখিলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়নি। কারন নিখিল কোনও দিনই তাঁকেআইন বিয়ে করেন নি। নিখিলের সঙ্গে তাঁর যে সম্পর্ক ছিল সেটা লিভ ইন সম্পর্ক। তার পরেই নিখিল জানিয়েছিলেন নুসরতের গর্ভে তাঁর সন্তান নেই। এরই মধ্যে আবার গুঞ্জন শুরু হয় যশের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকছেন নুসরত জাহান।
হঠাত করে সবাইকে চমকে কলকাতা পুরসভা পৌঁছে যান সাংসদ নুসরত। সঙ্গে যান যশ। জল্পনার একেবারে শীর্ষে থাকা দুই জুটি হঠাত কেন পুরসভাতে? তা নিয়ে জোর জল্পনা তৈরি হয়। তবে পুরসভাতে ঢুকে সরাসরি পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমের চেম্বারে পৌঁছে যান দুজনে। দীর্ঘক্ষণ তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়। প্রথমে তাঁদের মধ্যে কি নিয়ে বৈঠক তা জানা যায়নি। তবে জানা গিয়েছে মূলত বাচ্চার বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি নিয়ে আলোচলা হয়েছে।
সন্তানের বার্থ সার্টিফিকেটে বাবার নাম নয়, শুধুমাত্র মায়ের নাম
রাখতে চান নুসরত। সেজন্য কী করতে হবে, তা জানতে কলকাতা পুরসভায় যান সাংসদ- অভিনেত্রী
নুসরত জাহান। আর এতে প্রশ্ন উঠছে যশ নিয়ে চলা সমস্ত জল্পনা কি তাহলে এখানে ইতি? শুধু
বন্ধু হিসাবে নুসরতের পাশে সে! তবে পুরসভাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন যশ। কেন হঠাত
পুরসভাতে আসা? সেই বিষয়ে অভিনেতা জানিয়েছেন, ‘‘টিকা নিতেই এখানে আসা। আর অন্য কোনও
কারণ নেই।'' এর থেকে বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি। এমনকি ফিরহাদের সঙ্গে তাঁদের কি আলোচনা
হয়েছে এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি। তবে জানা গিয়েছে, পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগেও
যান তাঁরা। সেখানে বিস্তারিত ভাবে সমস্ত বিষয় জানার চেষ্টা করেন।