#Pravati Sangbad Digital Desk:
গুরু দু ধরনের হয়ে থাকে প্রথমত শিক্ষাগুরু এবং দ্বিতীয়ত দীক্ষাগুরু। প্রাচীন হিন্দু শাস্ত্রানুযায়ী গুরু পূর্নিমাকে বেদ ব্যাসের জন্মতিথি হিসাবে ধরা হয় । ২০২২ সালে ১২ ই জুলাই মঙ্গলবার ৫ঃ২৫ মিনিট থেকে ১৩ ই জুলাই ২.৫৮ মিনিট পর্যন্ত থাকবে এই পূর্ণিমা।বেদ ব্যাস ছিলেন ঋষি পরাশর ও মত্স্য গন্ধা সত্যবতীর জারজ সন্তান । জন্মের পর সত্যবতী তাকে পরিত্যাগ করেন । কিন্তু পরে সেই অবৈধ সন্তান সম্পাদনা করেন ।
চতুর্বেদের ১৮ টি পুরান , রচনা করেন মহাভারত ও ভাগবত গীতা । ইনিই বেদব্যাস , এই তিথিতেই জন্ম বেদব্যাসের । অন্যদিকে হিন্দু পুরাণের বিবরণ অনুযায়ী আজকের দিনেই ভগবান শিব প্রথম গুরু হয়েছিলেন তার যোগ বিদ্যা সপ্ত ঋষি - অত্রি , বিশিষ্ট, পূলহ , অঙ্গীরা , পুলোস্থ, মরিচি ও ক্রতুকে দান করে । তাই অনেকে এই দিনে আদি গুরু শিবের উপাসনাও করে থাকেন ।অপরদিকে জৈন্যদের মতে তীর্থঙ্কর মহাবীরও গুরু পূর্ণিমার দিন গুরু হিসাবে আত্ম প্রকাশ করেছিলেন । সেই কারণে জৈন্য ধর্মের মানুষেরাও এই দিনটিকে যথেষ্ট শ্রদ্ধার সাথেই পালন করেন । তবে প্রাচীন কাল থেকে শুরু করে বর্তমান প্রেক্ষাপট পর্যন্ত গুরুপূর্ণমা কে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মন দের প্রভাব প্রতিপত্তি ও ঘনঘটা লক্ষ্য করা যায় । মহাভারতে গুরু দ্রোণাচার্যের যথেষ্ট প্রভাব লক্ষ্য করা গেলেও , রাজনৈতিক চাতুরিতে একলব্যের বৃদ্ধাঙ্গুলি নিজের উপহার হিসাবে পকেটে ভরে বর্ণবৈষম্য , সাম্প্রদায়িকতা , হিনমন্যতা , সংকীর্ণতা , অর্থলোলুপতা ও কূটনীতিবাজের চরম নিদর্শন হিসাবে নিজেকে তুলে ধরেছিলেন ।
আজ গুরু পূর্ণিমার জন্য প্রতি বছরের মতো এবারেও দীক্ষাগুরু মহারাজদের প্রণাম করার জন্য ভক্তদের ঢল নেমেছে বেলুড় মঠে। এই বিশেষ দিনে বহু দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা তাঁদের দীক্ষাগুরুকে প্রণাম ও শ্রদ্ধা জানাতে এবং মহারাজের আশীর্বাদ নিতে বেলুড় মঠে আসেন।যদিও এমনিতেই সারা বছরই নিয়ম মতো ভক্তরা নিজ নিজ বাড়িতে গুরু প্রণাম করলেও এই বিশেষ দিনে তাঁরা স্বশরীরে বেলুড় মঠে এসে দীক্ষা গুরুকে প্রণাম করেন। পূজা করেন। এবং দীক্ষাগুরুর আশীর্বাদ নেন। এই উপলক্ষে বেলুড় মঠে বিশেষ আয়োজন করা হয়।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
Journalist Name : SRIJITA MALLICK