#Pravati Sangbad Digital Desk:
লাইফস্টাইল ও খাবারের অনিয়মের কারণে আজকাল মানুষ বেশি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। ডায়াবেটিসের সমস্যায় শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না, বা যে ইনসুলিন তৈরি করে তা কার্যকরভাবে ব্যবহার হয় না।ভেষজ মশলা হিসেবে মেথি বীজ আমাদের সবার কাছেই বেশ পরিচিত। সেই সাধারণ মেথিরও কিন্তু আপনার ওজন কমাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শুধু ওজন কমানোর ক্ষেত্রেই নয়, কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে ডায়াবেটিসের মতো অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখতে মেথি অত্যন্ত কার্যকরী!
প্রথমেই এর জন্য বানিয়ে নিন মেথি চা। জেনে নিন কী ভাবে বানাবেন এই মেথি চা।
মেথি চা বানানোর পদ্ধতি:
১) ১ চামচ মেথি গুঁড়ো।
২) দেড় কাপ ফুটন্ত গরম জলে ওই গুঁড়ো মিশিয়ে দিন।
৩) এর সঙ্গে ১ চামচ মধু মেশাতে পারেন। চাইলে এর সঙ্গে চা পাতা বা তুলসী পাতাও মেশাতে পারেন।
৪) সমস্ত উপকরণ একসঙ্গে দিয়ে মিনিট পাঁচেক ফুটিয়ে নিন।
৫) এ বার ছেঁকে নিয়ে সামান্য ঠান্ডা করে চুমুক দিন মেথি চায়ে।
মেথি চায়ের উপকারিতা:
১) অ্যাসিডিটি বা হজমের যাবতীয় সমস্যা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে মেথি চা। এ ছাড়াও মেথিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা পেট পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে।
২) প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি চা খেতে পারলে কোলেস্টেরল থাকে নিয়ন্ত্রণে। ফলে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। কমে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি।
৩) সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে মেথি চা অত্যন্ত কার্যকরী! পুষ্টিবিদ ডঃ অঞ্জু সুদের মতে, ইনসুলিনের কার্য ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে মেথি চা। ফলে, ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা সহজেই দূরে সরিয়ে রাখা যায়।
৪) ওবেসিটি সমস্যা বা শরীরের অতিরিক্ত ওজন দ্রুত কমাতে মেথি চায়ের জুড়ি মেলা ভার! সকালে খালি পেটে ১ কাপ মেথি চা নিয়মিত খেতে পারলে বাড়বে হজম ক্ষমতা একই সঙ্গে ঝরবে মেদও।
৫) প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি চা খেতে পারলে কিডনি পরিষ্কার থাকে। পেটে মেথি চা খেতে পারলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
২০১৫ সালের এক সমীক্ষার ফলাফল বলছে নিয়মিত ১০ গ্রাম মেথি গরম জলে ভিজিয়ে রেখে খেলে টাইপ টু ডায়াবিটিসের ঝুঁকি অনেকটাই কমে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল ফর ভিটামিন অ্যান্ড নিউট্রিশন রিসার্চ -এ প্রকাশিত হওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মেথি দানার জল ডায়াবেটিক রোগীদের ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রান্নায় মেথি ব্যবহার করতে হলে অন্তত পক্ষে তিন থেকে চার ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এতে সবচেয়ে ভালো ফল পাবেন। মেথি দানায় হাই ফাইবার থাকে, ফলে পাঁচন প্রক্রিয়া ধির গতিতে হয়, শরীরে শর্করা শোষণের হার কমে। স্বাভাবিক ভাবেই শরীর থেকে ইনসুলিন নির্গত হওয়ার হার বেড়ে যায়।মেথির বীজে পাওয়া অ্যামিনো অ্যাসিড রক্তে উপস্থিত চিনিকে ভেঙে ফেলতে এবং এর মাত্রা হ্রাস করতে সহায়তা করে। এটি রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়াতে সহায়তা করে এবং ডায়াবিটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।