ভাগ্যের জোরে চলন্ত ট্রেন থেকে উদ্ধার পাচার হয়ে যাওয়া কিশোরী

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

ঈশ্বরের কৃপায়, পাচার হওয়ার থেকে অল্পের জন্য বেঁচে ফিরল এক কিশোরী। ভাগ্য সহায় ছিল,তাই সে বেঁচে ফিরতে পেরেছে। তবে পাচার হয়ে যাওয়ার আগে বেশ কিছু তথ্য জানিয়ে যেতে পেরেছিল নিজের ফোন থেকে তার বাবাকে।  তারপরই অপরিচিত যুবক তার কাছ থেকে তার ফোন টি কেড়ে নিয়েছিল। তার বাবাকে জানানো তথ্যের ভিত্তিতে তার বাবা দক্ষিণ 24 পরগনার কাশিপুর থানার পুলিশের কাছে মেয়ের মোবাইল নাম্বার নিয়ে সব জানায়। কিন্তু ততক্ষণে সোমবারের হাওড়া-মুম্বাই মেল বর্ধমান পৌঁছে গিয়েছিল। কিশোরীর বাবার বক্তব্য যে তাঁর মেয়ে তাকে ফোন করে জানাতে সক্ষম হয় যে , তাকে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে ট্রেনে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল,কিন্তু তারপরেই সেই যুবক তার ফোন ছিনিয়ে নেয়।  টিউশন পড়তে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল কিশোরী কিন্তু তারপর আর তার বাড়ি ফেরা হয়নি, বাড়ি না ফিরে তাকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মায়ানগরের অন্ধকারে স্তব্ধ পল্লীতে নোংরা কাজ করতে।
পুলিশকে এসব জানালেও, রাত পৌনে বারোটা নাগাদ পুলিশের হাতে কিশোরীকে রক্ষা করার একমাত্র অবলম্বন ছিল সেই ফোন নাম্বারটি কিন্তু নাগালের বাইরে ছিল। বোঝাই গিয়েছিল তার কাছ থেকে ফোনটি কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তবু কিশোরী প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন আরো একবার যদি বাবাকে ফোন করে সমস্তটা জানানো যায় আর ঠিক তেমনটাই হল, রাতের অন্ধকার কেটে দিনের রোদ ঢুকে এসেছে ট্রেনের জানালায়। নীতি আতঙ্কিত গলায় বাবাকে ফোন করে বলে আমাকে বাঁচাও আর তাতেই পুলিশ লোকেশন ট্রেস করে ফেলে, বেরিয়ে আসে কিশোরীকে বাঁচানোর রাস্তা। দুপুর ১ঃ১৫ নাগাদ ট্রেনটি পৌঁছায় প্রয়াগরাজ। তারা কি কাশিপুর থানা থেকে ফোন যায় পুলিশের সাহায্যকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মুক্তি ফাউন্ডেশনের বীরেন্দর সিং এর কাছে। তিনি রেল মন্ত্রকের কাছে টুইট করে সমস্ত টা জানান এবং তার সাথে সাথে কাশিপুর থানার পুলিশ সহ একাধিক জিআরপি আরপিএফ সবাই কিশোরীর উদ্ধার অভিযানে নেমে পড়ে। প্রয়াগরাজে ট্রেন থামতে যেখানে 5 মিনিট দাঁড়ায় সেই সময় পরিবর্তন করে ৪০ মিনিট দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনকে এবং শুরু হয় তল্লাশি। ঠিক এরকমই ঘটনা নিদর্শন আমরা পাই 2021 সালে বাদুড়িয়া এলাকায় সেখানে দুই কিশোরীকে পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল এক বছর তিরিশের যুবক। সেই সময়ও একই ভাবে ওই দুই কিশোরীর মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক ট্র্যাক করে খুঁজে পাওয়া গেছিল।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Sagarika Chakraborty

Related News