#Pravati Sangbad Digital Desk:
খাস কলকাতায় ফের চিট ফান্ডের পর্দাফাঁস। সারদা কেলেঙ্কারির সামনে আসার পর সিবিআইকে ৪৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থা গুলির বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে কেন্দ্র গোয়েন্দারা জানতে পারেন রাজ্যে ১৪৩টি এমন সংশয় রয়েছে ! সেই তদন্ত এখনো চলছে আদা-জল খেয়ে লেগেছে এরই মধ্যে গত কয়েক বছরের মানুষ এত দুর্দশার মধ্যেও ঠাস করে দুটো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সামনে এসেছে দিন দুয়েক আগে লিজা এলিজাবেথ মুখোপাধ্যায় প্রতারণার ব্যবসা পর্দা ফাঁসকরেছে লালবাজার। এ বার রাজ্যের ডিরেক্টর অফ ইকনমিক অফেন্সেস বা ডিইও জালে ধরা পড়ে বৃহস্পতিবার রাতে বালিগঞ্জের কুইন্সপার্ক এলাকার আট তলার ফ্ল্যাট থেকে সুরানা গ্রুপের কর্ণধার শান্তিকুমার সুরানাকে গ্রেফতার করেন এই তদন্তকারী দল।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে , এই সংস্থা প্রধানত অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের টার্গেট করত এবং শুধুমাত্র কলকাতা নয়, ভারতবর্ষের একাধিক জায়গা থেকে টাকা দ্বিগুণ করে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা জালিয়াতি করে এই সংস্থা। শুধু শান্তি সুরানা নয়, আরও বেশ কয়েকজনের নাম এই কাণ্ডে উঠে আসছে। মূলত ২০০৭- ২০১৬ সাল পর্যন্ত এরা বাজার থেকে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা তুলেছে বলে অভিযোগ। জীবনের শেষ সম্বল, জমি জমা বিক্রির টাকাও ওই সংস্থার কাছে জমা রেখেছিলেন বয়স্ক মানুষরা। তাঁদের টাকাও ফেরত দেয়নি সুরানার সংস্থা। অভিযোগ এমনটাই।
২০০৭ সাল থেকে এই কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে। প্রায় ১১ টি সংস্থার নাম উঠে এসেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করে দেখেছে, এই প্রতারণা চক্রের জাল বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। পুলিসের কাছে যা খবর, আরও অন্তত ২২-২৪ টি সংস্থা রয়েছে, যাদের নামে বাজার থেকে টাকা তোলা হত।পরপর চিটফান্ড কেলেঙ্কারির পরেও খোদ কলকাতার বুকে কিভাবে রমরমিয়ে চিটফান্ড চলে, কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
Journalist Name : SRIJITA MALLICK