Flash news
    No Flash News Today..!!
Sunday, May 12, 2024

"মন্দার" ও একগুচ্ছ প্রশ্ন। অভিনেতা অনির্বাণ নাকি পরিচালক অনির্বাণ?কতটা সাফল্য তাঁর মতে!

banner

#Kolkata:

খুন, জখম, প্রতিশোধ, যৌনতা - ম্যাকবেথ।আর এই ম্যাকবেথ নিয়েই অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যের প্রথম পরিচালনার কাজ "মন্দার"-এর ট্রেলার দেখে, তাক লেগে গেছে সকলের। পরিচালক সৃজিত মুখার্জি দেখে মজা করে বলেই দিলেন, "আমায় আবার বেঙ্গালুরু ফিরে যেতে হবে"।পাশপাশি উঠে আসছে নানান প্রশ্ন।

তাহলে কি অভিনেতাকে এবার থেকে পরিচালনার কাজেই দেখা যাবে বেশি? “মকবুল” সিনেমাটি কোনোভাবে প্রভাব ফেলেছে? ওয়েব সিরিজ হিসেবে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কেনো? বড়পর্দায় অসুবিধা কি ছিলো? একি সঙ্গে পরিচালনা ও অভিনয়ে কেমন অভিজ্ঞতা? এবং একদল মঞ্চের অভিনেতার পদার্পণ এই সিনেমায়, সেটাও কি নিজের ইচ্ছায়? 


সম্প্রতি ট্রেলার নিয়ে হওয়া নানান সাক্ষাত্কারে প্রায় সবরকম প্রশ্নের উত্তরই তিনি দিয়েছেন। সিনেমার ক্ষেত্রে পরিচালনায় প্রথম হলেও থিয়েটারের অভিজ্ঞতা বহুবারই আছে বলে জানান অভিনেতা। তবে খুব একটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পরিচালনায় আসা তা নয়। অনির্বাণের অকপট স্বীকারোক্তি এই বিষয়ে যে এসভিএফ প্রযোজনা সংস্থার অন্যতম কর্ণধার মহেন্দ্র সোনি এর নেপথ্যে ছিলেন। প্রতীক দত্ত ও অনির্বাণ যখন এই সিরিজের চিত্রনাট্য লিখছিলেন, তখন ভেবেছিলেন প্রাথমিক স্তরে  “শো - রানার “ হিসেবেই থাকবেন। কিন্তু সম্পূর্ণ বিষয়টি জানার পর মণিদা অর্থাৎ মহেন্দ্র সোনি অনির্বাণকে বলেন,‘‘সিরিজটা তুমিই পরিচালনা কর। অন্য পরিচালক এলে দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে।’’

এই দায়িত্ব কাঁধে নিতে ভয়তো পেয়েছিলেনই। কিন্তু সাত বছরের থিয়েটারের অভিজ্ঞতা মনে শক্তিও দিয়েছিলো। কিন্তু প্রশ্ন একটা থেকেই যাচ্ছে যে বড়ো পর্দায় এলো না কেন “মন্দার “। বিশেষ করে যখন করোনা পরিস্থিতিতে টলিউডে বড়পর্দায় অন্ধকার নেমে এসেছে তখন এইরকম সাড়া ফেলে দেওয়ার মতো কাজ কেনই বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আসছে।


এক্ষেত্রে অনির্বাণ যদিও জানান প্রথম থেকেই এটি একটি ওয়েব সিরিজের ভাবনায় তৈরি করা হচ্ছিল। সম্পূর্ণ সময়সীমা ২ ঘণ্টা ২৫ মিনিট। এতো বড়ো ছবি আজকাল হয় না এবং হলেও এতো বড়ো সিনেমা সময় নিয়ে সিনেমা হলেও খুব বেশি সাড়া ফেলে না। তবে কাজ সম্পূর্ণ করার পর একবার মনে হয়েছে টিমের যে এটি একটু পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি হলেও হতে পারতো। কিন্তু যেহেতু শুরু থেকেই সিরিজের ধারণায় তৈরি করা হচ্ছিল সেহেতু “পর্ব শুরু “, “পর্ব শেষ “-এর রীতি ধরেই এগিয়েছে।

এবার যদি আসা যায় কাস্ট প্রসঙ্গে তাহলে দেখা যাবে একঝাঁক মঞ্চের অভিনেতারা উঠে এসেছে। তাহলে এটাও কি উদ্দেশ্য ছিল অনির্বাণের। এই প্রশ্নের জবাবে খুব স্পষ্টভাবেই খারিজ করেন তিনি। দেবাশিস মণ্ডল, দোয়েল রায় নন্দী, শঙ্কর দেবনাথ বা কোরক সামন্তের মতো অভিনেতাকে তিনি নিজে যোগ্য মনে করেছেন। তাঁর মতে চরিত্রে যাকে ঠিক মনে হয়েছে তিনি তাঁদেরকেই নিয়েছেন। আজ অনির্বাণের পরিচালনায় তাঁরা উঠে আসছেন এমনটা না। তাঁরা প্রত্যেকেই ভীষণ প্রতিভাসম্পন্ন, তিনি না ডাকলেও আজ না হয় কাল তাঁদের ডাক আসতেনই।


তবে মূল চরিত্র তিনি কেনো থাকলেন না এই বিষয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক তুলে ধরেছেন তিনি। থিয়েটারেও এর আগে বহুবার দেখেছেন যে পরিচালনা ও অভিনয় একসাথে করতে গিয়ে ঘেঁটে যায়। তাই সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে "মুকাদ্দার মুখার্জি "। তাও অনির্বাণের মতে, "চরিত্রটির প্রয়োজন ছিল বলেই সিরিজে দেখা যাবে। অভিনয় করার জন্য করা এমনটা নয়।"

তাহলে লেডি ম্যাকবেথ, মানে সোহিনী! সেকি বন্ধুত্বের দিক থেকেই? সেই বিষয়ে স্পষ্ট খারিজ করলেন দাবি। জানালেন দুবার লুক টেস্ট হওয়ার পরেই তিনি এই চরিত্রে এসেছেন। যদিও পাওলি দাম,তুহিন বা আরও অনেকেই ভালো অভিনয় করতে পারতেন কিন্তু তিনি সোহিনীকে বেছে নিয়েছিলেন এবং ট্রেলারে সোহিনীর বডি ল্যাঙ্গুয়েজে বলিষ্ঠভাব ও চোখে নৃশংস ও যৌন ক্ষুদার চাহিদা স্পষ্টই বুঝিয়ে দিচ্ছে তিনিই তুরুপের তাস। আর তাকে কড়া টক্কর দিয়েছেন “মন্দার” চরিত্রের অভিনেতা দেবাশিস মন্ডল।


গেইলেপুরের পরিবেশকে কেন্দ্র করেই ম্যাকবেথের গল্পকে সাজিয়ে তুলেছে  টিম “মন্দার“। আগামী ১৯ এ নভেম্বর “হইচই” তে স্ট্রিমিং শুরু হবে। কিন্তু এই কথাটিও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি যে অভিনেতা অনির্বাণকেই বাংলার দর্শক বেশি দেখতে পাবেন।

তাহলে দেখা যাক, “কালের কোলে কপাল ফেরে; কেউ রাজা, কেউ রাজার বাপ…” দিয়ে শুরু হওয়া ট্রেলার যতটা উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, সিরিজটি সেই উত্তেজনা ধরে রাখতে পারে কি পারবে না!

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Srijita Maitra

Related News