#pravati sangbad digital desk:
গত ২২শে জানুয়ারি রাজ্যের ৪ পুরনিগমে নির্বাচনের কথা ছিল, কিন্তু করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়, আগামী ১২ই ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে, তার পরেই ২৭শে ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮টি পৌরসভাতে নির্বাচন। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে দেওয়াল লিখন, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার পরেই শুরু হয়েছে বিদ্রোহ, দলত্যাগও করছেন অনেকে। রাজ্যের সর্বত্র চলছে বিক্ষোভ, তবে শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্য অবশ্য এই তালিকা চূড়ান্ত নয়, যেই তালিকায় দলের সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ দলের বাকি শীর্ষ নেতৃত্বের স্বাক্ষর থাকবে সেই তালিকাই চূড়ান্ত বলে গণ্য করা হবে।
এই বছরের পৌরসভা ভোটের নতুন সংযোজন উত্তরবঙ্গের ময়নাগনড়ি পৌরসভা, তালিকা প্রকাশের পরে সেখানেও বিক্ষোভের ছবি ধরা পড়েছে, বিক্ষোভ সামলাতে পৌরসভার চেয়ারম্যান পদ ত্যাগ করেছেন প্রাক্তন বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী। এদিন মালবাজারে রাস্তার ওপর টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন অনেকেই, দীর্ঘক্ষণ চলে পথ অবরোধও।
মালদার ইংরেজবাজারেও প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, তিনি বলেন, “ এই তালিকাই বিজেপি কর্মীদের প্রার্থী করা হয়েছে, তারা কোন দিন তৃণমূল করেওনি”। অনেকের মতে পৌরসভার প্রার্থী তালিকা নিয়ে এই বিক্ষোভের প্রধান কারণ ভোট কৌশলী সংস্থার। বীরভূম জেলার রামপুরহাট পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরেই ফিরে গিয়েছেন কংগ্রেসে। দল ছাড়ার কথা জানিয়েছেন পুরুলিয়ার শামিমদাদ খান সহ আরও অনেকেই। রাজ্যের অনেক জায়গাতেই দেখা গেছে বিক্ষোভের ছবি। এদিন কোচবিহারেও প্রার্থী বদলের দাবীতে বিক্ষোভ দেখাই তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা। উত্তর ২৪ পরগণার বিভিন্ন জায়গাই দেখা গিয়েছে পথ অবরোধের ছবি। জলপাইগুড়ির ২২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে। প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক করিম চৌধুরীও। মাথাভাঙায় চলে দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ। অন্যদিকে রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি দাবি করেছেন, শুভেন্দু অধিকারীর কাছের লোকেদের কাথি পৌরসভার প্রার্থী করা হয়েছে, যার প্রেক্ষিতে দলের পদ পর্যন্ত ছা্ড়তে চেয়েছিলেন তিনি। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র বিক্ষোভের খবর উঠে আসছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে পৌরসভা ভোটের আগে প্রকাশ্যে দলের কর্মী সমর্থকদের ক্ষোভ চাপ সৃষ্টি করতে পারে ভোটের ফলাফলেও।