ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে তিন ঘণ্টার দীর্ঘ বৈঠকের পরও কোনো চূড়ান্ত সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি—এটি স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে দু’দেশের মধ্যকার বিরোধ ও জটিলতা এখনো কাটেনি। বৈঠকে কী কী বিষয় আলোচনায় এসেছে, তা নির্ভর করে সময়, প্রেক্ষাপট এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির ওপর, তবে সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার বৈঠকে নিম্নলিখিত ইস্যুগুলো আলোচনায় আসে:
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও সামরিক উত্তেজনা,
ইউক্রেন যুদ্ধ / ক্রাইমিয়া সংকট,
নেটো সম্প্রসারণ ও রাশিয়ার উদ্বেগ, যুদ্ধ অবসানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প
নির্বাচনে হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত অভিযোগ,
আর্থিক নিষেধাজ্ঞা ও কূটনৈতিক সম্পর্ক,
তিন ঘণ্টার মত দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা হলেও সমাধান না আসা বোঝায়, হয়তো:
উভয় পক্ষ নিজেদের অবস্থান থেকে নড়েনি।
কিছু বিষয়ে সম্মতি এলেও, মূল ইস্যুতে অচলাবস্থা রয়ে গেছে। পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে হুঙ্কার
এবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিন্তু সেই সাক্ষাতের আগেই ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টকে বড়সড় দুঃসংবাদ দিলেন ট্রাম্প। সাফ জানিয়ে দিলেন, রুশ অধিকৃত ক্রাইমিয়া ফিরে পাওয়ার কথা জেলেনস্কি যেন না ভাবেন। একইসঙ্গে ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার স্বপ্নও ভুলে যেতে বলেছেন ট্রাম্প।
আজ সোমবার এই গুরুত্বপূর্ণ উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, যেখানে জেলেনস্কি ইউক্রেনের সুরক্ষা ব্যবস্থা ও স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনার পরিকল্পনা করছেন। বৈঠকে ইউরোপীয় নেতৃবর্গ যেমন — যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ফিনল্যান্ড, ইউরোপীয় কমিশন ও ন্যাটো প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন।
বৈঠকটি ট্রাম্প এবং রাশিয়ার পুতিনের আলাস্কা সম্মেলনের পরপরই আয়োজন করা হয়েছে। ওই সম্মেলনে কোনো নিরসন বা শান্তি চুক্তি না হলেও, আলোচনার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। তবে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রেসিং করেছেন দ্রুত চুক্তি করার জন্য, যেখানে ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা আশা করছে।
ভালোডিমির জেলেনস্কির মূল দাবি, তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, কোনো শান্তি চুক্তি হতে হবে দীর্ঘমেয়াদি, সংবিধানসম্মত, এবং আত্মসত্ত্বা বজায় রেখে হতে হবে—তাই কোনো ধরনের ভৌগোলিক ক্ষতি করে বা ক্রিমিয়া বা পূর্বের অংশ ছেড়ে দেওয়া হবে না।
কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলছেন,রাশিয়ার দখলীকৃত ক্রিমিয়া ফেরত পাওয়ার আশা ছাড়তে হবে ইউক্রেনকে ।
জ়েলেনস্কি ভেবেছিলেন, ট্রাম্প তাঁর পাশে থাকবেন, যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাবেন। তবে ট্রাম্পের মুখে অন্য সুর।
ইউক্রেন রাশিয়ার কাছ থেকে দখলীকৃত ক্রিমিয়ার অংশ ফেরত নিতে চায়। তবে ট্রাম্প সেই সম্ভাবনা আগেই উড়িয়ে দিয়েছেন। একইসঙ্গে ন্যাটোর সদস্যপদও যেন না চান, তা সাফ বলেন ট্রাম্প। রাশিয়ার অন্যতম শর্তই ছিল এটা।
আরও আশ্চর্যের বিষয় হল, ট্রাম্পের বিশেষ প্রতিনিধি জানিয়েছেন যে ইউক্রেনকে ন্যাটো স্টাইলে নিরাপত্তা দিতে পারে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাজি এই প্রস্তাবে। কলকাতার আকাশে রহস্যময় ড্রোন!
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে জেলেনস্কির কোনও শর্তই মানতে নাও পারেন ট্রাম্প। ইউক্রেনের হারানো জমি পুনরুদ্ধারের আশা নেই বললেই চলে, অনুমান বিশেষজ্ঞদের। ক্রিমিয়া, ডনবাস ফিরে পাওয়ার আশা জেলেনস্কির না রাখাই ভাল, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
আজ সংঘর্ষবিরতির চুক্তি চূড়ান্ত হলে কিভে শান্তিবাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব ব্রিটেন ও ফ্রান্সের। ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রপ্রধানরা যোগ দেবেন বৈঠকে।