Flash News
  1. ভারতের উপর থেকে ট্রাম্প-ট্যারিফ প্রত্যাহারের পথে আমেরিকা
Sunday, September 21, 2025

কিশমিশ ভেজানো জল খেলে ত্বক হয় আরও উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর

banner

journalist Name : Ananya Dey

#Pravati Sangbad Digital Desk:

 কিশমিশ শুধু মুখরোচক শুকনো ফল নয়, এটি প্রকৃতির এক আশ্চর্য উপহার যা শরীরের নানা উপকারে আসে। বিশেষ করে রাতে কিছু কিশমিশ জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই জল খেলে আমাদের ত্বকের উপকার হয় বহুগুণে। এই ভেজানো জলে কিশমিশের যাবতীয় গুণাগুণ মিশে যায় যা শরীরের ভেতর থেকে ত্বককে পুষ্টি দেয়। নিয়মিত কিশমিশ ভেজানো জল খাওয়ার অভ্যাস আমাদের মুখের ত্বককে উজ্জ্বল ও দাগহীন  রাখতে সাহায্য করে।

কসমেটিক নয়, অয়েলি স্কিনের যত্নে চাই ঘরোয়া উপায়

প্রথমত, কিশমিশে থাকা প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের দেহ থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। টক্সিন জমে গেলে ত্বক হয়ে পড়ে নিস্তেজ, রুক্ষ ব্রণপ্রবণ। কিশমিশ ভেজানো জল শরীরকে ডিটক্সিফাই করে, ফলে রক্ত পরিষ্কার হয় এবং ত্বকে তার প্রতিফলন পড়ে ,  স্কিন হয় আরও উজ্জ্বল দাগমুক্ত। বিশেষ করে যাদের মুখে পিগমেন্টেশন, অ্যাকনে বা ব্রণের দাগ রয়েছে, তাদের জন্য এটি একটি প্রাকৃতিক উপায় যা ধীরে ধীরে ত্বকের দাগ হালকা করে। দ্বিতীয়ত, এতে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ভিটামিন সি, যা ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। কোলাজেন ত্বকের টানটান ভাব ইলাস্টিসিটি বজায় রাখে। ফলে নিয়মিত খেলে বয়সের ছাপ যেমন বলিরেখা বা ফাইন লাইন ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে। যারা ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে চান, তাদের জন্য এটি একটি সহজ সাশ্রয়ী সমাধান। তৃতীয়ত, কিশমিশের প্রাকৃতিক শর্করা খনিজ উপাদান যেমন আয়রন, পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক হয় নরম, কোমল হাইড্রেটেড। শুষ্ক ত্বক যাদের সমস্যা, তাদের জন্য এটি বিশেষ উপকারী। অন্যদিকে, কিশমিশ ভেজানো জল হরমোন ব্যালান্স করতেও সহায়তা করে, যা অনেক সময় মুখে ব্রণ বা অন্যান্য সমস্যা তৈরি করে। নিয়মিত এই জল খেলে হরমোনাল ব্রণ নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। সেই সঙ্গে এটি হজমশক্তি বাড়ায়, যেহেতু ত্বকের সঙ্গে পেটের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। হজম ভালো থাকলে ত্বকেও তার প্রতিফলন পড়ে, চেহারায় আসে এক প্রাকৃতিক আভা।


সবচেয়ে বড় কথা, এই উপায়টি একেবারেই সহজ, প্রাকৃতিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন। রাতে ১০-১৫টি কিশমিশ এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে কিশমিশ চিবিয়ে খেয়ে সেই জলটা পান করলেই হয়। শুধু এক-দুদিনে ফল পাওয়া যাবে না, তবে - সপ্তাহ নিয়মিত খেলে ত্বকে এক দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবেচেহারায় আসবে এক প্রাকৃতিক ফেয়ারনেস, গ্লো ফিচারস হবে আরও শার্প সুন্দর। কিশমিশ ভেজানো জল হল এক প্রাকৃতিক স্কিন কেয়ার টনিক যা ভিতর থেকে শরীর পরিষ্কার করে, ত্বক পুষ্টি দেয় তারুণ্য ধরে রাখে। নিয়মিত এই অভ্যাস আপনাকে কৃত্রিম কসমেটিকসের উপর নির্ভর না করেই স্বাভাবিক সৌন্দর্য পেতে সাহায্য করবে।

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Related News