দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে রাজ্য বিজেপির কাঁধে নেতৃত্বের দায়িত্ব এল শমীক ভট্টাচার্যের হাতে। বুধবার দুপুর গড়াতেই ঘটল সেই বহুল প্রতীক্ষিত ঘোষণা। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা নিজে ফোন করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন শমীক ভট্টাচার্যকে। এর মাধ্যমেই স্পষ্ট হয়ে যায়, বাংলার রাজনীতিতে বিজেপির পরবর্তী লড়াইতে দলের কাণ্ডারি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে এই অভিজ্ঞ ও পরিচিত মুখকে।
শিবকাশীতে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ
শমীক ভট্টাচার্য শুধুমাত্র এক জন রাজনীতিকই নন, তিনি একাধারে প্রাক্তন বিধায়ক, দলের মুখপাত্র হিসেবে বহুদিন ধরে বিজেপির অবস্থান তুলে ধরেছেন নানা গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে। তাঁর পরিমিত ও সুসংহত বক্তব্য, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং দলে-দলের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষমতা তাঁকে স্বাভাবিকভাবেই এই দায়িত্বে নিয়ে এসেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। দলীয় সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামোতে নতুন দিশা আনার দাবি উঠেছিল। সাংগঠনিক জট ও নানা দলীয় কোন্দলের মাঝে একজন ভারসাম্যপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য এবং অভিজ্ঞ নেতার প্রয়োজন ছিল। এই পরিস্থিতিতে শমীক ভট্টাচার্যের নাম সামনে আসে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ বহুদিন ধরেই তাঁর উপর আস্থা রেখে চলেছেন। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই সিদ্ধান্ত বিজেপির কাছে একটি বড় পদক্ষেপ। শমীক ভট্টাচার্যের সামনে এখন অনেক বড় চ্যালেঞ্জ, দলকে সংগঠিত রাখা, নেতৃত্বের মধ্যে সমন্বয় সৃষ্টি করা। তার সঙ্গে সাংগঠনিক স্তরে জেলাভিত্তিক দলগুলিকে নতুন উদ্যমে সক্রিয় করে তোলাও অন্যতম প্রধান দায়িত্ব।
বহু
নাটকীয়তা, মতানৈক্য ও আলোচনার পর
অবশেষে রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বে নতুন অধ্যায় শুরু হল।
শমীক ভট্টাচার্যের অভিজ্ঞতা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং সাংগঠনিক দক্ষতার
উপর ভর করেই এখন
বিজেপি এগিয়ে যেতে চায় রাজ্য
রাজনীতিতে নিজেদের অবস্থানের লক্ষ্যে।
এই দায়িত্ব পেয়ে শমীক ভট্টাচার্য নিজেও
জানিয়েছেন, "দল যা দায়িত্ব
দিয়েছে, সেটা আমি আন্তরিকভাবে
পালন করব। বাংলায় বিজেপিকে
আরও মজবুত করে তোলাই এখন
আমার প্রধান লক্ষ্য।"