বর্ষা ঋতু প্রকৃতির জন্য যেমন শান্তি নিয়ে আসে, তেমনি আমাদের চুলের জন্য এটি অনেক সময় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অতিরিক্ত আর্দ্রতা, বৃষ্টির জল, ধুলোবালি ও দূষণের কারণে এই সময়ে লম্বা চুলে ছত্রাক, খুশকি, চুল পড়া এবং চুলের ভঙ্গুরতা দেখা যায়। তাই এই মরসুমে চুলের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি এই ৫টি জুসে কমবে লিভারে থাকা অতিরিক্ত ফ্যাট
প্রথমত, নিয়মিত অন্তত সপ্তাহে ২-৩ বার হালকা সালফেট-মুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করা উচিত, যাতে জমে থাকা ধুলো, ময়লা ও বৃষ্টির জল দূর হয়। দ্বিতীয়ত, শ্যাম্পু করার পরে অবশ্যই হেয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে, কারণ এটি চুলকে আর্দ্র রাখে এবং রুক্ষতা রোধ করে। তৃতীয়ত, প্রতিবার চুল ধোয়ার পরে তা ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। ভেজা চুল কখনোই বেঁধে রাখা উচিত নয়, কারণ এতে ছত্রাক বা স্ক্যাল্প ইনফেকশন হতে পারে। চতুর্থত, সপ্তাহে অন্তত একবার গরম নারকেল বা অলিভ অয়েল দিয়ে স্ক্যাল্পে হালকা ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং চুলের গোড়া শক্ত হয়। পঞ্চমত, হেয়ার মাস্ক বা ডিপ কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট বর্ষার আর্দ্র পরিবেশে চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। ছয় নম্বরে, চুল আঁচড়ানোর সময় বড় দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করতে হবে, যাতে চুল ভাঙা বা জট বাঁধা না ঘটে। সপ্তমত, এই সময়ে হিট স্টাইলিং , যেমন হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেইটনার বা কার্লারের ব্যবহার কমানো উচিত, কারণ এগুলি চুল আরও শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে। অষ্টমত, খাদ্যাভ্যাসে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন বি, আয়রন ও জিঙ্ক রাখলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। নবমত, চুলে কোনো কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট, পার্ম বা রং করা এই সময়ে এড়িয়ে চলা ভালো। বর্ষাকালে চুল অতিমাত্রায় সংবেদনশীল থাকে, তাই অপ্রয়োজনীয় ট্রিটমেন্টে তা আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। দশমত, বাইরে যাওয়ার সময় ছাতা বা স্কার্ফ ব্যবহার করে চুল ঢেকে রাখা ভালো, যাতে বৃষ্টির জল সরাসরি চুলে না পড়ে।
এই ১০টি উপায় নিয়মিত
অনুসরণ করলে বর্ষাকালের চুল
পড়া, রুক্ষতা বা চুলের দুর্বলতা
অনেকটাই কমানো সম্ভব। বিশেষ করে লম্বা চুলের
ক্ষেত্রে যত্নের পরিমাণ একটু বেশি হওয়া
দরকার, কারণ এটি সহজেই
জট বাঁধে ও ভেঙে পড়ে।
নিজের চুলকে সুস্থ, মসৃণ ও প্রাণবন্ত
রাখতে হলে এই মরসুমে
অতিরিক্ত
সচেতনতা এবং নিয়মিত যত্ন
নেওয়া খুবই জরুরি।