হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলায় কয়েকটি ধারাবাহিক মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস, যা মানুষের জীবন, সম্পত্তি ও অবকাঠামোয় ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে এনেছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জেলা প্রশাসনের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
পুরীর রথযাত্রায় ফের চূড়ান্ত অব্যবস্থা, পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশতাধিক
গোহার, কারসগে এবং বারা এলাকার পাহাড়ি অঞ্চলে বৃষ্টির তীব্রতায় হঠাৎ বন্যা ও পাথর ধস নামে, ফলে বহু মানুষ আটকে পড়েন এবং ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উদ্ধারকার্যে নিয়োজিত হয়েছে NDRF ও SDRF-এর টিম, যারা তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে দিনরাত। ঘটনাস্থলে একাধিক সড়ক ধসে পড়েছে এবং বহু জায়গায় বিদ্যুৎ ও জলের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। আবহাওয়া দফতর (IMD) এই পরিস্থিতিকে ‘ওরেঞ্জ এলার্ট’ হিসেবে ঘোষণা করে জানায়, আগামী কয়েকদিন ধরেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত চলতে পারে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়, বিশেষ করে কুল্লু, মান্ডি, চাম্বা, শিমলা এবং সোলান অঞ্চলে। হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু জেলা প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টা সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন এবং প্রয়োজন হলে পর্যটকদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এ ধরনের আকস্মিক দুর্যোগ বর্ষার শুরুতেই এতটা ভয়াবহ আকার নেবে, তা কল্পনাতীত ছিল।
বহু এলাকায় মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন, এবং অনেক পরিবার খাবার ও চিকিৎসার অভাবে সংকটে রয়েছেন। প্রশাসন আপৎকালীন ত্রাণশিবির খোলার কাজ শুরু করেছে এবং কন্ট্রোল রুম চালু করে যোগাযোগ রক্ষা করছে। বর্ষার প্রথম দফার এই দুর্যোগ হিমাচলের পাহাড়ি জেলাগুলিতে যে কী ভয়াবহ রূপ নিতে পারে, তার একটি দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে মান্ডির এই মেঘভাঙা বৃষ্টি।