পহেলগাঁওয়ে পাকিস্তান মদতপুষ্ট সন্ত্রাসকে কেন্দ্র করে যখন উপমহাদেশে উত্তেজনার পারদ চড়ছে, ঠিক সেই সময় ভারতীয় নৌসেনা ও ডিআরডিও’র যৌথ প্রচেষ্টায় সফল হল এক অত্যাধুনিক মারণাস্ত্রের পরীক্ষা। সমুদ্রপথে শত্রু মোকাবিলায় এবার ভারতের হাতে যোগ হল ‘মাল্টি ইনফ্লুয়েন্স গ্রাউন্ড মাইন’ বা MIGM—যা ভবিষ্যতে নৌসেনার অন্যতম তুরুপের তাস হয়ে উঠতে চলেছে।
উলেখ্য, সোমবার সফলভাবে সম্পন্ন হয় এই অত্যাধুনিক নৌ-মাইনটির ট্রায়াল। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, জলের নিচে শত্রুপক্ষের ডুবোজাহাজ বা স্টিলথ ভেসেল চিহ্নিত করে তা মুহূর্তে ধ্বংস করতে সক্ষম এই বহুস্তরীয় মাইন। এর সেন্সর প্রযুক্তি এতটাই উন্নত যে, জলতলের গভীরে থেকে এটি নির্ভুলভাবে শত্রু সনাক্ত করতে পারে—এমনকি স্টিলথ প্রযুক্তিতে নির্মিত জাহাজও এই মাইনের নজর এড়াতে পারবে না। এই এমআইজিএম মূলত সমুদ্রতলে পাতা থাকে এবং কোনও শত্রু জাহাজ বা সাবমেরিন তার সেন্সরের আওতায় এলেই স্বয়ংক্রিয় বিস্ফোরণের মাধ্যমে তা ধ্বংস করে দেয়। শুধু তা-ই নয়, জাহাজ, সাবমেরিন, কো-অপারেটিভ বা আন্ডারসি অপারেটিং প্ল্যাটফর্ম—যেকোনও মাধ্যম থেকেই এই মাইন মোতায়েন করা সম্ভব। ফলে বাস্তবিকই যুদ্ধের যেকোনও পরিস্থিতিতে এটি ব্যবহারযোগ্য ও কার্যকর হয়ে উঠবে।
চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে আবার গ্রেফতার করল বাংলাদেশ পুলিশ
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, ভারত মহাসাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসনের মুখে ভারতের সমুদ্র নিরাপত্তা জোরদার করতে এই অস্ত্র অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা নেবে। একইসঙ্গে, পহেলগাঁও হামলার জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে আরব সাগরের দিক থেকেও কোনও সন্ত্রাস বা সামরিক হুমকি এলে তা প্রতিহত করতে ভারতীয় নৌসেনার এই নতুন অস্ত্র হয়ে উঠবে এক অপ্রতিরোধ্য ঢাল। পরিস্থিতি বিবেচনায়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দ্রুত এই অস্ত্রকে নৌসেনার সক্রিয় অস্ত্রভাণ্ডারে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিচ্ছে বলে সূত্রের খবর।