মণিপুরের পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত। রাজ্যের মায়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা চান্দেল জেলায় সেনা ও জঙ্গিদের মধ্যে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয়েছে ১০ জন জঙ্গি। অভিযানে অংশ নেয় অসম রাইফেলসের স্পিয়ার কর্পসের সদস্যরা। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, গোপন সূত্রে পাওয়া সুনির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়।
পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ১৪ মে, বুধবার আন্তর্জাতিক সীমান্ত সংলগ্ন নিউ সামতাল গ্রামে এই অভিযান শুরু হয়। সেনা সদস্যরা এলাকায় প্রবেশ করতেই জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। পালটা জবাব দেয় সেনাবাহিনী। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলা এই গুলির লড়াইয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১০ জন জঙ্গির। অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান এখনও চলছে বলে সেনা সূত্রে খবর। সন্দেহ করা হচ্ছে, আরও কিছু জঙ্গি ওই এলাকায় লুকিয়ে থাকতে পারে। এদিকে, এই অভিযান দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চলা বড়সড় জঙ্গি দমন পরিকল্পনারই অংশ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির আওতায় গত ৮ মে থেকে এই বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মণিপুরে দীর্ঘদিন ধরে চলা মেইতেই ও কুকি গোষ্ঠীর মধ্যে জাতিগত সংঘর্ষের সুযোগ নিচ্ছে চিনপন্থী বিদ্রোহী সংগঠনগুলি। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভঙ্গুর হয়ে উঠেছে বলেও আশঙ্কা।
ভারতের ৫২তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিলেন বিচারপতি বিআর গভাই, ইতিহাসে প্রথম বৌদ্ধ মুখ
উলেখ্য, গত সপ্তাহেই মণিপুর থেকে ১৩ জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এবার সেনা অভিযানে সরাসরি খতম করা হল ১০ জন জঙ্গিকে। সূত্রের খবর, জঙ্গিদের সঙ্গে চিনা তৈরি অস্ত্রও পাওয়া গিয়েছে, যা এই সংঘবদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির আন্তর্জাতিক যোগসূত্রের সম্ভাবনা আরও জোরালো করছে। মণিপুর পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে এই অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। রাজ্যবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সীমান্তবর্তী এলাকায় টহল ও নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।