শনিবার বিকেল পাঁচটা থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার ঘোষণা করা হলেও, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই চুক্তি লঙ্ঘন করে ফের হামলা চালায় পাকিস্তান সেনা। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে শুরু করে পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। পাকিস্তানের এই আগ্রাসনের কড়া জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
রবিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আয়োজন করেন সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। উপস্থিত ছিলেন সেনার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। বৈঠকে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সেনাপ্রধান স্পষ্ট বার্তা দেন— যদি পাকিস্তান ফের হামলা চালায়, ভারতীয় কমান্ডারদের যেন কোনওরকম দ্বিধা ছাড়াই যোগ্য জবাব দেওয়া হয়। সেনাপ্রধান বলেন, “প্রতিটি আক্রমণের যোগ্য জবাব দিতে হবে। আমাদের সেনারা তৈরি, এবং প্রয়োজনে আমরা আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।”শনিবার রাত ৮টা ১৫ মিনিট থেকে জম্মু সীমান্ত বরাবর পাকিস্তানের সেনারা মর্টার ও গুলিবর্ষণ শুরু করে। জম্মুর বিভিন্ন এলাকায় লাগাতার গোলাগুলিতে আতঙ্ক ছড়ায়। এরপর উধমপুর, ফিরোজপুর এবং অমৃতসরের মতো এলাকাতেও আক্রমণের খবর পাওয়া যায়। রাত ৯টার পর থেকেই অমৃতসরে সাইরেন বাজতে শুরু করে, শহরজুড়ে ব্ল্যাকআউট ঘোষণা করা হয়। বাসিন্দাদের ঘর থেকে না বেরোনোর নির্দেশ দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে স্থানীয় প্রশাসন বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ জারি করেছে।
অবসরের মধ্য দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে আর এক যুগের অবসান, বিরাট কোহলির বিদায়
ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্ত্রি শনিবার বিকেলে যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনায় কূটনৈতিক স্তরেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে এই লঙ্ঘনের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। পাকিস্তানের এই আচরণ স্পষ্টতই যুদ্ধবিরতির চুক্তির প্রতি অবমাননা। তবে ভারতের অবস্থান পরিষ্কার— যে কোনও আগ্রাসনের কড়া জবাব দেওয়া হবে। সীমান্তে সেনা মোতায়েন আরও বাড়ানো হয়েছে এবং সমস্ত ইউনিটকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও ঘনীভূত হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে ইঙ্গিত সেনা সূত্রের।