চলমান উত্তেজনার আবহে ভারত ও পাকিস্তান শেষপর্যন্ত যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করল। শনিবার বিকেল ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্ত্রি। তবে যুদ্ধবিরতির মাঝেই ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,‘অপারেশন সিঁদুরে’ সফলভাবে, নিখুঁত পরিকল্পনা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়েছে।
সেনা সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই অপারেশনটি সঠিক ও গোপনীয় কৌশলে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যদিও বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি, সেনার তরফে জানানো হয়েছে যে উপযুক্ত সময়ে একটি বিশদ ব্রিফিং এর মাধ্যমে অপারেশন সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জানানো হবে। পাশাপাশি, আইএফ (ভারতীয় বাহিনী) জনগণকে অনুরোধ করেছে যে, তারা যেন অনুমান বা অপ্রমাণিত তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকে। যুদ্ধবিরতির আগের ৪৮ ঘণ্টা ছিল চরম উত্তেজনাপূর্ণ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই পাকিস্তান বিভিন্ন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ড্রোন ও মিসাইল হামলার চেষ্টা চালায়। জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও রাজস্থান সীমান্তজুড়ে বাড়ানো হয় সতর্কতা। শুক্রবার সন্ধ্যায় অমৃতসর বিমানবন্দরের কাছে পাকিস্তান ড্রোন হামলা চালায়, যদিও ভারতীয় সেনার দ্রুত প্রতিক্রিয়ায় আকাশেই ধ্বংস করা হয় সেই ড্রোনগুলি। ফলে অমৃতসর বিমানবন্দরে কোনো রকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে সেনা সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে। পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার রাত থেকেই অমৃতসর শহরে জারি করা হয় লাল সতর্কতা। পরপর দু’দিন ব্ল্যাকআউট করা হয় গোটা শহর। প্রশাসনের তরফ থেকে সাধারণ মানুষকে বাড়ি থেকে না বেরোনোর নির্দেশ দেওয়া হয়। শনিবার রাত ৯টা নাগাদ ফের সাইরেন বাজতে শুরু করে, এবং পুনরায় শুরু হয় ব্ল্যাকআউট। বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
সংঘর্ষবিরতির আবহে আইপিএল পুনরায় শুরু হওয়ার সম্ভাবনা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বড় সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড
উলেখ্য, যদিও এখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর, কিন্তু সীমান্তে পরিস্থিতি এখনও স্পর্শকাতর। সেনার তরফে বলা হয়েছে, অপারেশন সিঁদুরে এখনও চলমান এবং তার প্রতিটি পদক্ষেপ নজরে রাখা হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে প্রতিটি নাগরিককে সচেতন ও ধৈর্যশীল থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় সামরিক বাহিনীর এই পদক্ষেপ আগামী দিনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা।