১৬ ঘণ্টা আগে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনা অবসানে যুদ্ধবিরতির খবর বিশ্ববাসীর সামনে প্রথম আনেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তিনি আরও একধাপ এগিয়ে কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে আলোচনায় মধ্যস্থতার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। এই প্রস্তাব নতুন করে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
ট্রাম্প তাঁর নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশাল’-এ এক পোস্টে লেখেন, *“ভারত ও পাকিস্তানের শক্তিশালী নেতৃত্বের জন্য গর্বিত। তাঁরা শক্তি, জ্ঞান ও দৃঢ়তার সঙ্গে বুঝেছেন যে এটাই বর্তমান সংঘর্ষ থেকে সরে আসার সময়। যা চলতে থাকলে আরও বেশি মৃত্যু ও ধ্বংসের আশঙ্কা ছিল। লক্ষ লক্ষ ভালো ও নিরীহ মানুষের মৃত্যু হতে পারত।”তিনি আরও বলেন, *“আমি গর্বিত যে আমেরিকা আপনাদের এমন ঐতিহাসিক এবং বীরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সাহায্য করতে পেরেছে। যদিও আলোচনা এখনও হয়নি, তবে আমি এই দুই মহান দেশের সঙ্গে বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে চলেছি। উপরন্তু, আমি আপনাদের দু’জনের সঙ্গেই কথা বলে দেখতে চাই যে, ‘হাজার বছর পরে’ কাশ্মীরের বিষয়ে কোনও সমাধানে পৌঁছনো যায় কিনা। ঈশ্বর ভারত ও পাকিস্তানের নেতৃত্বকে আশীর্বাদ করুন কাজটি ভালোভাবে করার জন্য।”এর আগে এক্স (সাবেক টুইটার)-এ স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৪২ মিনিটে একটি পোস্টে ট্রাম্প জানান, “গোটা রাত দীর্ঘ আলোচনার পর দুই দেশই এই মুহূর্ত থেকে সম্পূর্ণরূপে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। সঠিক সময়ে বাস্তবজ্ঞান কাজে লাগানোয় দু’পক্ষকে শুভেচ্ছা।”ভারত বরাবরই আন্তর্জাতিক মহলে জোর দিয়ে বলে এসেছে, কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এই বিষয়ে কোনও তৃতীয়পক্ষের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। ফলে ট্রাম্পের এই প্রস্তাবে নয়াদিল্লি কী প্রতিক্রিয়া জানায়, সেদিকেই এখন তাকিয়ে আছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে স্থগিত আইপিএল: অনিশ্চয়তায় টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ
বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচনপূর্ব আন্তর্জাতিক উত্তেজনায় মধ্যস্থতার মাধ্যমে কূটনৈতিক সাফল্য তুলে ধরতে চাইছেন ট্রাম্প। তবে ভারত যদি এই প্রস্তাব খারিজ করে, তাহলে বিষয়টি আবারও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়াতে পারে। কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে তৃতীয়পক্ষের হস্তক্ষেপ ভারত দীর্ঘদিন ধরেই নাকচ করে এসেছে। সেই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক প্রস্তাব শুধুই রাজনৈতিক ইচ্ছাপ্রকাশ, নাকি এর পেছনে আরও গভীর কূটনৈতিক চাল রয়েছে—তা সময়ই বলবে। আপাতত নয়াদিল্লির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ার দিকেই তাকিয়ে আন্তর্জাতিক মহল।