পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর পরিচালিত সফল ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষিতে ভারতের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক আকাশসীমা বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। "অপারেশন সিন্দুর" নামে এই সামরিক অভিযানে বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মোহাম্মদ এবং মুরিদে লস্কর-ই-তৈয়বার মতো কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠনের অন্তত ৯টি ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে বলে প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনাকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে, ভারতের অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর থেকে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। ৭ মে রাতে অভিযান শুরুর পর থেকে ১০ মে ভোর ৫টা ২৯ মিনিট পর্যন্ত দেশজুড়ে ৩০০-রও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এতে করে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, আকাসা এয়ার-সহ একাধিক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা বিমান পরিবহণ দফতরের নির্দেশ মেনে বহু বিমান বাতিল করেছে। ইন্ডিগো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুধুমাত্র তাদের পক্ষ থেকেই ১৬৫টিরও বেশি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, শ্রীনগর, জম্মু, লেহ, যোধপুর, ভুজ-সহ একাধিক বিমানবন্দরে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত কোনও যাত্রীবাহী বিমান ওঠানামা করবে না। স্পাইসজেট-এর মতে, পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় লেহ, শ্রীনগর, ধর্মশালা, কান্দলা ও অমৃতসর সহ একাধিক গন্তব্যে পরিষেবা আপাতত বন্ধ থাকবে।
নিম্নলিখিত বিমানবন্দরসমূহে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে:
জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখ: শ্রীনগর, লেহ, থয়েস
পাঞ্জাব: অমৃতসর, পাঠানকোট, লুধিয়ানা, পাতিয়ালা, হালওয়ারা
হিমাচল প্রদেশ: ধর্মশালা, শিমলা, গাগ্গল, ভুন্টার
রাজস্থান: যোধপুর, জয়সলমের, কিষাণগড়, বিকানের
গুজরাট: রাজকোট, ভুজ, জামনগর, কান্দলা, কেশোদ, পোরবন্দর, মুন্দ্রা
রোহিতের আচমকা টেস্ট অবসর: অপমানের ভয়েই কি হিটম্যানের সরে দাঁড়ানো?
উলেখ্য, সরকারি ও বেসরকারি উভয় মহল থেকে সাধারণ নাগরিকদের উদ্দেশ্যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন যাত্রার আগে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হন। এই পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সর্বোচ্চ স্তরে রাখা হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র অভিযান এবং পরবর্তী পদক্ষেপ ভারতীয় প্রতিরক্ষা ও কূটনৈতিক দিক থেকে এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছে, যেখানে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব পুনরায় প্রকাশ পেয়েছে।