পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর নজিরবিহীন সামরিক অভিযান ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে এই প্রত্যাঘাত মূলক অভিযান চালানো হয় ৬ মে রাত থেকে ৭ মে ভোররাতে। অভিযানের নেতৃত্বে ও পর্যবেক্ষণে ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
গত ২২ এপ্রিল, জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও-এর বৈসরন উপত্যকায় জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠী একটি সন্ত্রাসবাদী হামলা চালায়, যেখানে একাধিক নিরাপত্তা কর্মী এবং সাধারণ নাগরিক নিহত হন। সেই ঘটনার পাল্টা জবাব দিতে ভারত সরকার এই উচ্চপর্যায়ের সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয়। ভারতীয় প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা গেছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুরিদকে, কোতলি, মুজফফরবাদ এবং বাহাওয়ালপুর অঞ্চলের অন্তত ৯টি স্থানে এয়ার-টু-সারফেস ব্যালিস্টিক মিসাইল দ্বারা অত্যন্ত নিখুঁত হামলা চালানো হয়। এইসব স্থানে জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবা-র হেডকোয়ার্টার ও লজিস্টিক ঘাঁটি ছিল বলে তথ্য ছিল গোয়েন্দা বিভাগের কাছে। সোমবার গভীর রাত থেকে শুরু হওয়া এই সামরিক অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একাধিক ইউনিট ও প্রযুক্তিগত বাহিনী অংশ নেয়। প্রধানমন্ত্রী মোদি স্বয়ং সারা রাত জেগে প্রতিটি ধাপ পর্যবেক্ষণ করেন বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে জানা গেছে।
২০২৬ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা: পরীক্ষার সূচি এগিয়ে আসায় চিন্তায় পরীক্ষার্থীরা
উলেখ্য, অভিযানের পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লেখেন, “সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গর্বিত। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রত্যুত্তর এই অপারেশন সিঁদুর। মোদির সরকার দেশের উপরে চালানো যে কোনও হামলার যোগ্য জবাব দিতে প্রস্তুত।” ভারতের এই অভিযান পর পাকিস্তানি সেনা নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC) বরাবর লাগাতার শেলিং শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলে ১০ জন সাধারণ নাগরিক নিহত এবং কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। ভারতের এই পদক্ষেপ থেকে স্পষ্ট—সন্ত্রাসবাদ ও রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট জঙ্গি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে মোদি সরকার ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতি গ্রহণ করেছে। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, "অপারেশন সিঁদুর শুধু সামরিক জবাব নয়, এটি একটি কৌশলগত বার্তা—সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট এবং কঠোর।"