আবারও চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে পারেন রেলযাত্রীরা। হাওড়া শাখায় মেগা পাওয়ার ব্লক (Mega Power Block)-এর কারণে ২০০টিরও বেশি লোকাল ট্রেন বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদিও এখনো পর্যন্ত রেল কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি, তবুও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে অন্তত ১৯ দিন ধরে হাওড়া শাখার রেল পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে।
প্রসঙ্গত, হাওড়া শাখার এই মেগা পাওয়ার ব্লকের কারণে প্রতিদিনের ট্রেন পরিষেবা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হবে। রেলের তথ্য অনুযায়ী, একটানা ১৯ দিন ধরে মোট ২১২টি লোকাল ট্রেন বাতিল হতে পারে। এর ফলে নিত্যযাত্রীদের জন্য পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটময় হয়ে উঠবে। অধিকন্তু, শুধুমাত্র লোকাল ট্রেনই নয়, মেগা পাওয়ার ব্লকের প্রভাব দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতেও পড়তে পারে। এমনকি এই সময়ে অন্তত ৬৪টি এক্সপ্রেস ট্রেনও বাতিল করার কথা ভাবা হচ্ছে। ফলে, রেলযাত্রীদের জন্য আরও একবার কঠিন সময় আসতে পারে। হাওড়া-খড়গপুর শাখার সাঁতরাগাছি রেল ইয়ার্ডের রিমডেলিং-এর কাজ আগামী এপ্রিলের শেষের দিকে শুরু হতে যাচ্ছে। এর সঙ্গে আরও বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ রেলের পক্ষ থেকে হাতে নেওয়া হয়েছে, যা যাত্রীদের সুবিধার জন্য করা হচ্ছে। তবে, এই কাজগুলি বাস্তবায়িত করতে গেলে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনে মেগা ট্রাফিক ব্লক করতে হবে। এটি প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা এবং দোলযাত্রার কারণে সেই কাজের সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়। এখন, ৩০ এপ্রিল থেকে এই কাজ শুরু করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যার ফলে হাওড়া শাখায় পরিষেবা ব্যাহত হবে।
উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশের দিন জানালেন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য
রেল কর্তৃপক্ষ জানে যে, দীর্ঘ ১৯ দিন ধরে পরিষেবা ব্যাহত হলে যাত্রীদের জন্য তা অত্যন্ত সমস্যাজনক হবে। অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে যাত্রীদের অসুস্থ হয়ে পড়া, দুর্ঘটনা বা অন্য কোনো অঘটন ঘটারও আশঙ্কা রয়েছে। তাই, রেলের পক্ষ থেকে চেষ্টা চলছে যাতে এই সময়সীমা যতটা সম্ভব কমানো যায় এবং মেগা পাওয়ার ব্লকের প্রভাব কমানো যায়। তবে, তা সম্ভব হবে কিনা, তা এখনও পরিষ্কার নয়। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামী সোমবার (৯ মার্চ ২০২৫) নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে, রেল কর্তৃপক্ষ এই সময়ের মধ্যে জনসাধারণের স্বার্থে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। তবে, ৩০ এপ্রিল থেকে ১৯ দিনের জন্য রেল পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় যাত্রীদের প্রস্তুত থাকতে হবে। যাত্রীদের স্বার্থে রেল কর্তৃপক্ষ যথাসম্ভব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে কাজ করছে। তবে, এই সংকটময় সময়টিতে যাত্রীদের সহানুভূতি এবং প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।