আজ থেকে রাজ্যজুড়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এবছরই শেষবার পুরনো সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পদ্ধতি সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তিত হবে, এবং সেমেস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য এই পরিবর্তন একটি বড় ধাপ, এবং পরীক্ষার প্রক্রিয়া আরও আধুনিক ও পরিশীলিত হতে চলেছে।
উলেখ্য, এবছর পরীক্ষায় মোট ৫ লক্ষ ৯ হাজার পরীক্ষার্থী পরিক্ষায় বসছে। গত বছরের তুলনায় এই সংখ্যা কিছুটা কম, গত বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৭ লক্ষ ৯০ হাজার। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন শিক্ষামহল। তবে, এই বিষয়টি শুধুমাত্র সাময়িক কারণেই হতে পারে, এবং পরীক্ষার্থীরা নতুন পদ্ধতিতে আরও সুষ্ঠু ও সহজভাবে পরীক্ষা দিতে পারবে এমন আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। পরীক্ষা শুরু সকাল ১০টায় এবং শেষ দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে। মোট ৭৯৮টি পরীক্ষাকেন্দ্রের মধ্যে ১৩৬টি কেন্দ্র স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য, পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করা হবে এবং সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। প্রতিটি পরীক্ষাকক্ষে দুইজন করে পর্যবেক্ষক রাখা বাধ্যতামূলক। কোনও ঘরে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ বা তার বেশি হলে, সেখানে তিনজন পর্যবেক্ষক রাখা হবে। এবারের পরীক্ষায় নকল রোধে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছোট ছোট প্যাকেটে স্কুলে পাঠানো হবে এবং প্রশ্নপত্র পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের সামনেই খোলা হবে। প্রধান শিক্ষক বা ভেন্যু সুপারভাইজারের ঘরে প্রশ্নপত্র খোলার অনুমতি থাকবে না। পরীক্ষাকেন্দ্রের ১০০ মিটার এর মধ্যে অবাঞ্ছিত কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না এবং কাছাকাছি কোনও ফোটোকপি দোকান খোলা রাখা যাবে না।
৯৭ তম অ্যাকাডেমি পুরস্কারের বিজয়ীদের তালিকা
এছাড়াও, পরীক্ষার হলে ক্যালকুলেটর ছাড়া কোনও মোবাইল ফোন বা বৈদ্যুতিন যন্ত্র নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। পরীক্ষার্থীদের জন্য একটি অত্যন্ত কঠোর নির্দেশনা রয়েছে যে, যদি কেউ মোবাইল ফোন বা অন্য কোনও ইলেকট্রনিক যন্ত্র নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেন, তাহলে তার পরীক্ষাটি বাতিল করা হবে এবং তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। এ বছর ৪৫ হাজার ৫৭১ জন ছাত্রী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা। তবে শিক্ষামহলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষত, পরীক্ষার সংখ্যায় এই হ্রাস শিক্ষার মান এবং পরীক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহের পরিমাণ সম্পর্কে নানা প্রশ্ন তুলছে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা এক গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে শিক্ষার্থীদের জীবনে পরিচিত, এবং এবছর নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং প্রক্রিয়া শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় পরিবর্তন নিয়ে আসবে। এতে তারা আরও সুষ্ঠু ও সুরক্ষিত পরিবেশে পরীক্ষা দিতে পারবেন এবং শিক্ষামূলক প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী হবে।