কলকাতার যাতায়াত ব্যবস্থায় মেট্রোর গুরুত্ব অপরিসীম। শহরের দৈনন্দিন জীবনে মেট্রো এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন ব্যবস্থা, বিশেষত ব্যস্ততম সময়গুলোতে। তবে, রাতের বেলা দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রোর সংখ্যা কম হওয়া এবং এতে যাত্রীদের অসুবিধার বিষয়টি সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে উঠে আসে। এ ব্যাপারে আদালতে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় নতুন একটি দিক উঠে এসেছে, যেখানে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে মেট্রো সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার আবেদনকারীরা দাবি করেন, রাত ৯.৪০ পর মেট্রো সংখ্যা মাত্র দুইটি চালানো হচ্ছে, যার ফলে যাত্রীদের জন্য ভীষণ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতি ঘণ্টায় মাত্র দুটি মেট্রো চালানোর কারণে যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় অসুবিধা সৃষ্টি করছে। এ কারণে, আবেদনে মেট্রো সংখ্যা বাড়িয়ে অন্তত চারটি মেট্রো চালানোর দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু, কলকাতার মেট্রো কর্তৃপক্ষ এবং কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী জানান, সিগনালিং ব্যবস্থায় কর্মীদের শিফটিং, মেট্রো কোচের সংখ্যা এবং অন্যান্য কর্মীদের শিফটিং সম্পর্কিত কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা এবং ম্যানপাওয়ারের কারণে বর্তমানে মেট্রোর সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব নয়। মেট্রোর বিদ্যমান ব্যবস্থাপনা সারাদিনের পরিষেবা সঠিকভাবে চালু রাখার জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী করা হয়েছে। তবে, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ যাত্রী সাধারণের সুবিধা এবং তাদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি পুনরায় ভাবার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের মতে, জনগণের সুবিধার্থে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে যাত্রীদের সুস্থ এবং নিরাপদ যাত্রার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ভাবতে হবে।
২০২৬এর বিধানসভা ভোটের আগেই বড় ঘোষণা মমতার
প্রসঙ্গত, এই নির্দেশনা থেকে স্পষ্ট যে, কলকাতার মেট্রো পরিষেবা উন্নত করার জন্য যাত্রীদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা এবং তাদের প্রয়োজনীয়তা যথাযথভাবে বুঝে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রয়োজন। আশা করা যায়, মেট্রো কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল দিক বিবেচনা করে দ্রুত কোনো সমাধান আনবে, যাতে যাত্রীদের সুবিধা বৃদ্ধি পায়।