ভুল চিকিৎসায় সর্বস্বান্ত পরিবার, গলব্লাডার অপারেশনে ২২ লাখ টাকার বেশি বিল

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk :

হুগলি জেলার সাহাগঞ্জের পাত্রপুকুরের বাসিন্দা সঙ্গীতা রাউত নামে এক মহিলা পরিবারসহ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন, যেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন যে চিকিৎসকের ভুলের কারণে তার অপারেশন সফল হয়নি এবং এই ভুলের পর তাকে আর্থিক ও শারীরিকভাবে চরম সংকটের মধ্যে পড়তে হয়েছে।

প্রসঙ্গত,  সঙ্গীতা রাউতের গলব্লাডারে পাথর ধরা পড়ে গত বছরের অক্টোবর মাসে। তার পরেই তিনি স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে পরীক্ষা করান এবং বলা হয় যে, তাকে গলব্লাডারের অস্ত্রোপচার করতে হবে। এরপর পরিবার তাকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে শল্য চিকিৎসক প্রকাশ সামন্ত তার অস্ত্রোপচার করেন। প্রথমে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও, অপারেশনের পর সঙ্গীতার পেট থেকে অস্বাভাবিক মল-মূত্র বের হতে শুরু করে। অস্ত্রোপচার পরবর্তী সময়ে সঙ্গীতা রাউতকে আবারও ভর্তি করা হয় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে, পরে তাকে কলকাতার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে জানা যায়, চিকিৎসক অপারেশনের সময় তার মলমূত্রের নালী ভুল করে কেটে ফেলেছেন। এই ভুলের কারণে সঙ্গীতাকে অনেক বড় শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, যার ফলে চিকিৎসা খরচও অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। 


পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সঙ্গীতা রাউতের চিকিৎসার জন্য এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ২৩ লক্ষ টাকা, যার মধ্যে ৭ লক্ষ টাকা তাদের নিজেদের টাকায় জমা দেওয়া হয়েছে। মেডিক্লেমের টাকা শেষ হয়ে যাওয়ার পর, পরিবারের সদস্যরা আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শল্য চিকিৎসক প্রকাশ সামন্ত জানিয়েছেন, “ওই পরিবার আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। অস্ত্রোপচার এক মাসের বেশি সময় আগে হয়েছে, তাই এর পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছু বলতে পারব না।” তিনি বলেন, যে ভুলটি হয়েছে, তা একটি “টেকনিক্যাল বিষয়” হতে পারে, যার সমাধান করতে হবে। হুগলি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্ক মৌলিক বলেন, “এটা একটি টেকনিক্যাল বিষয় হতে পারে। আমরা বিষয়টি ভালোভাবে জানব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”

আগামী ২৯ এপ্রিল দিঘার নতুন জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন হতে চলেছে

উলেখ্য,  সঙ্গীতা রাউতের পরিবার ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে সঠিক তদন্তের জন্য দাবি করেছে। তাদের দাবি, চিকিৎসকের ভুলের কারণে তারা শুধু শারীরিকভাবে কষ্ট পাচ্ছেন না, পাশাপাশি আর্থিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছেন। এখন দেখার বিষয়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দাবি নিয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Bidisha Karmakar

Related News