সোমবার রাতে বারাসত স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল আপ বনগাঁ লোকাল ট্রেন। রেল লাইনের উপর পরপর পাথর সাজানো ছিল, যা যাত্রীদের চোখে পড়ে এবং তাঁদের তৎক্ষণাৎ সতর্কতা প্রচেষ্টার মাধ্যমে বড় বিপদ ঠেকানো সম্ভব হয়। ঘটনাটি ঘটেছিল সন্ধ্যায়, যখন বনগাঁ লোকাল স্টেশনে ঢুকছিল। আচমকাই যাত্রীদের নজরে আসে রেললাইনের উপরে থরে থরে সাজানো পাথর। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা এবং যাত্রীরা চিৎকার করে বিপদের সংকেত দেন। এরপর তারা তড়িঘড়ি মোটর ম্যানকে এই বিষয়টি জানান এবং রেল পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
উলেখ্য, রেল পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ট্রেনটি স্টেশনে ঢোকার আগেই থামিয়ে দেয়। পাথরগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলা হয়, ফলে বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পায় অসংখ্য যাত্রী। যাত্রীদের মতে, যদি এই ঘটনা আরও কিছুক্ষণ পরে ঘটত, তবে পাথরের উপর ট্রেনের চাকা পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। রেলপথে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। এমন পরিস্থিতি যে কোনও সময়ে আরও বড় বিপদ ডেকে আনতে পারত, তাই যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রেল কর্তৃপক্ষের উচিত এমন ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও সতর্ক হওয়া এবং এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
বুলেট ট্রেন নির্মাণ প্রকল্পে বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে গুজরাত
প্রসঙ্গত, জিআরপি (গার্ড রেল পুলিশ) জানিয়েছে, ঘটনাটি একটি মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির কাজ ছিল। তবে, এ ধরনের যুক্তি দিয়েই কি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে, সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। তাঁরা মনে করছেন, রেল কর্তৃপক্ষকে আরও প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা না ঘটে। এভাবে ঘটনার পর যাত্রীদের মনে একটি বড় প্রশ্ন থেকে যায়—"একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি যদি এই বিপদ ঘটাতে পারে, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কি নিশ্চিত?" এটা যে কোনও মানুষের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। তাই, রেল কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনকে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে যাত্রী নিরাপত্তার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এই ঘটনায়, যাত্রীদের সচেতনতা ও সজাগ মনোভাব ছিল অন্যতম প্রধান কারণ, যার ফলে বড় বিপদ ঠেকানো সম্ভব হয়। তবে, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়ানোর জন্য আরও উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে।