গুজরাতের ভাটভা (Vatva) রেল স্টেশনের কাছে বুলেট ট্রেনের নির্মাণ কাজ চলাকালীন একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটে, যার ফলে দু’জন আহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনার কারণে আহমেদাবাদ-ভাটভা ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে, যা যাত্রীদের জন্য ব্যাপক অসুবিধার সৃষ্টি করেছে। জানা গেছে, রবিবার রাত ১১ টার দিকে নির্মাণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের মধ্যে একজন ভারী ক্রেন ব্যবহার করছিলেন, যা একসময় ভারসাম্য হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এতে ধাতুর পাত একটি রেললাইনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, ফলে রেল চলাচল প্রভাবিত হয়। রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, দুর্ঘটনাটির ফলে আহমেদাবাদ এবং ভাটভা অঞ্চলের মধ্যে একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভাটভা-বোরিভালি এক্সপ্রেস, আহমেদাবাদ-মুম্বই সেন্ট্রাল এক্সপ্রেস, ভাদোদরা-ভাটভা ইন্টারসিটি, জামনগর-ভাদোদরা ইন্টারসিটি, এবং আরও প্রায় ২৫টি ট্রেন। দুর্ঘটনার পর রেল কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের সাহায্যের জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে। এই দুর্ঘটনার প্রভাব মুম্বই, ভাদোদরা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রেলপথের উপর পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেন চলাচলে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন আনতে এবং ভ্রমণকারীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গঠনের চেষ্টা করছে।
বাতিল হওয়া ট্রেনগুলির তালিকা:
১. বন্দে ভারত এক্সপ্রেস- ট্রেন সংখ্যা ২০৯০১ (মুম্বই সেন্ট্রাল-গান্ধিনগর ক্যাপিটাল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস) ২৪ মার্চ ২০২৪-এ ভাদোদরা স্টেশনে শর্ট টার্মিনেট করা হবে এবং ভাদোদরা-গান্ধিনগর ক্যাপিটালের মধ্যে আংশিকভাবে বাতিল থাকবে। ট্রেন সংখ্যা ২০৯০২ (গান্ধিনগর ক্যাপিটাল-মুম্বাই সেন্ট্রাল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস) ২৪ মার্চ ২০২৪-এ ভাদোদরা থেকে রওনা হবে এবং গান্ধিনগর ক্যাপিটাল-ভাদোদরার মধ্যে আংশিকভাবে বাতিল থাকবে।
২. ইনদওর-গান্ধিধাম এক্সপ্রেস- ট্রেন সংখ্যা ২০৯৩৬ (ইনদওর-গান্ধিধাম এক্সপ্রেস) ২৩ মার্চ ২০২৪-এ নাদিয়াদ স্টেশনে শর্ট টার্মিনেট করা হবে এবং নাদিয়াদ-গান্ধিধামের মধ্যে আংশিকভাবে বাতিল থাকবে। ট্রেন সংখ্যা ২০৯৩৫ (গান্ধিধাম-ইনদওর এক্সপ্রেস) ২৪ মার্চ ২০২৪-এ নাদিয়াদ থেকে রওনা হবে এবং গান্ধিধাম-নাদিয়াদের মধ্যে আংশিকভাবে বাতিল থাকবে।
নৈহাটির বরফ কারখানা থেকে বিষাক্ত অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক!
উলেখ্য, রেল কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন মেরামতের কাজ শুরু করেছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ভারী যন্ত্রপাতি এবং কর্মীদের সতর্কতা অবলম্বন না করার কারণে এই বিপর্যয় ঘটেছে। তবে, রেলওয়ে কর্মকর্তারা দাবি করেছেন যে, মেরামতের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। এই দুর্ঘটনা একটি বড় দুর্ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যা রেলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর প্রতি আরও নজর দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।