ভারতের পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক (PNB) থেকে প্রায় ১৪০০০ কোটি টাকা প্রতারণা করে পালিয়ে যাওয়া ব্যবসায়ী মেহুল চোকসির অবস্থান অবশেষে ধরা পড়েছে। একাধিক সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি বর্তমানে বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্পে অবস্থান করছেন এবং সেখানে তাঁর স্ত্রী প্রীতি চোকসির সঙ্গে বসবাস করছেন। প্রীতি চোকসি বেলজিয়ামের নাগরিক এবং জানা গেছে, মেহুল চোকসি ২০২৩ সালের নভেম্বরে বেলজিয়ামে রেসিডেন্সি কার্ড অর্জন করেছেন।
এদিকে, চোকসির পলাতক থাকার পর ভারত সরকার এবার তাঁর দেশে ফেরানোর জন্য তৎপর হয়েছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে বেলজিয়াম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং চোকসিকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার অনুরোধ জানিয়েছে। তবে, বেলজিয়ামে তার নতুন রেসিডেন্সি চোকসির ফেরত আসার প্রক্রিয়া জটিল করে তুলেছে, কারণ এর ফলে তাকে ইউরোপীয় দেশগুলোতে ভ্রমণের স্বাধীনতা মিলছে, যা তাকে ভারতে বিচারের মুখোমুখি হতে বাধা প্রদান করতে পারে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, মেহুল চোকসি বেলজিয়ামে রেসিডেন্সি পাওয়ার জন্য মিথ্যা ও জাল নথি জমা দিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে মিথ্যা ঘোষণা এবং জাল নথির ব্যবহার। তিনি তার ভারতীয় এবং অ্যান্টিগুয়ার নাগরিকত্বের ব্যাপারেও চুপ ছিলেন, যা তার বেলজিয়াম রেসিডেন্সি অর্জনের প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলেছে। এমনকি, চোকসির স্ত্রী প্রীতি চোকসি এই রেসিডেন্সি প্রাপ্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বলেও শোনা যাচ্ছে। এছাড়া, কিছু সূত্র দাবি করছে যে, মেহুল চোকসি বর্তমানে অসুস্থ এবং তিনি সুইৎজারল্যান্ডের একটি ক্যানসার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করছেন। যদি এমনটা ঘটে, তবে চোকসি মানবিক কারণে ভারতে ফেরত না পাঠানোর জন্য আবেদন করতে পারেন।
চেন্নাই সুপার কিংস বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স – সিজনের প্রথম বড় ম্যাচ
উলেখ্য, চোকসির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছেন। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাকে পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধী (FEO) হিসাবে ঘোষণা করেছে। ভারত সরকার তার সম্পত্তি বিক্রি করে ২২,২৮০ কোটি টাকা পুনরুদ্ধার করেছে, যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সংসদে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন। এই দীর্ঘ সময় ধরে পলাতক থাকার পর চোকসির অবস্থান উদঘাটিত হওয়ায়, ভারত সরকার এখন তাঁর দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে চায়। তবে, তার বেলজিয়ামে রেসিডেন্সি পাওয়া ও নানা আইনি জটিলতা নিয়ে বেশ কিছু বাধা রয়েছে, যা তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার পথে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।