ইজরায়েলি বাহিনী গাজা ভূখণ্ডে নতুন করে হামলা শুরু করেছে, যার ফলে শতাধিক প্যালেস্টাইনি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে শিশু এবং মহিলা রয়েছে। গাজ়ার প্রশাসন জানায়, মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গেছে, যা সাম্প্রতিক সময়ে গাজ়ায় সবচেয়ে বড় হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জানুয়ারি কাতার, আমেরিকা ও মিশরের উদ্যোগে ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১ মার্চ শেষ হয়ে গেলেও দ্বিতীয় দফার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও আলোচনার সূত্রপাত হয়নি। এরই মধ্যে, ইজরায়েল হামাসের ওপর চাপ বাড়াতে গাজ়ায় ত্রাণ পাঠানো বন্ধ এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। মঙ্গলবার ভোরে আকাশপথে গাজ়া শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে, বিশেষ করে হামাসের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায়। ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর দাবি, রাজনৈতিক নেতৃত্বের অনুমোদনেই এই হামলা চালানো হয়েছে। ইজরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, গাজ়ার হামাস গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তারা আরও শক্তিশালী আক্রমণ চালাবে।
২০২৫ সালের আইপিএল লাইভ স্ট্রিমিং দেখতে রিলায়েন্স জিও-এর বিশেষ প্ল্যান
উলেখ্য, এপির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, গাজ়ার বিভিন্ন স্থানে হামলার পর বহু বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেক মানুষ চাপা পড়েছেন এবং তাদের উদ্ধার করতে তৎপরতা চলছে। এদিকে, আতঙ্কিত গাজ়াবাসীরা দ্রুত হাসপাতালে চলে যাচ্ছেন। গাজ়ায় সাধারণ মানুষ এখনো থেমে থেমে গোলাবারুদ বর্ষণের আওয়াজ শুনছেন, এবং পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, যতোদিন প্রয়োজন, ততোদিন হামলা চালানো হবে। গাজ়ায় চলমান এই যুদ্ধের ফলে মানবিক সংকট আরও গভীরতর হয়েছে, এবং আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।