মহাকাশের অভিযানে দীর্ঘ নয় মাস থাকার পর অবশেষে ঘরে ফিরতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং মার্কিন নভোচারী বুচ উইলমোর। নাসার মহাকাশ মিশন অনুসারে, ১৮ মার্চ, ২০২৫ ভারতীয় সময় রাত ৩টা ২৭ মিনিটে পৃথিবীতে ফিরে আসবেন তাঁরা।
নাসা জানিয়েছে যে, সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরের মহাকাশ যাত্রার শেষ পর্যায়ে রয়েছে। মহাকাশে আটকে থাকার দীর্ঘ সময় এবং একাধিক যান্ত্রিক সমস্যার কারণে তাঁদের ফেরার প্রক্রিয়া ধীর গতিতে চলছিল। তাঁদের বোয়িং স্টারলাইনার স্পেসশিপের প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে কিছু সময় তাঁদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে বিফল হয়ে যায়। তবে এবার, সব কিছু ঠিকঠাক থাকায় তাঁদের ফেরানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে চলেছে।এছাড়াও, সুনীতা এবং বুচের সঙ্গেই পৃথিবীতে ফিরে আসবেন নাসার নভোচারী নিক হগ এবং রাশিয়ার আলেকজ়ান্ডার গর্বুনভ। এই মহাকাশ যাত্রীদের পৃথিবীতে ফেরানো হবে স্প্ল্যাশডাউন পদ্ধতিতে, যা প্যারাসুটের মাধ্যমে ফ্লোরিডার গাল্ফ অফ মেক্সিকোয় সফলভাবে সম্পন্ন হবে। এবার এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি সবাই ঘরে বসেই দেখতে পারবেন। নাসা নিশ্চিত করেছে যে সুনীতা ও বুচের পৃথিবীতে ফেরার গোটা প্রক্রিয়ার লাইভ স্ট্রিমিং হবে। লাইভ স্ট্রিমিংটি শুরু হবে মার্কিন সময় অনুযায়ী সোমবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিট থেকে এবং ভারতীয় সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৮টা ১৫ মিনিট থেকে এটি দেখা যাবে। নাসার ওয়েবসাইট এবং তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে এই লাইভ স্ট্রিমিং দেখা যাবে। মহাকাশ গবেষণা এবং নভোযান চালনার প্রতি আগ্রহী দর্শকরা এই বিশেষ মুহূর্তটি উপভোগ করতে পারবেন।
হোলবার্গ পুরস্কারে সম্মানিত গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ৫৭ মিনিটে (স্থানীয় সময়) মহাকাশ যাত্রীরা প্যারাসুটের সাহায্যে ফ্লোরিডার গাল্ফ অফ মেক্সিকোয় অবতরণ করবেন। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, রাত ৩টা ২৭ মিনিটে এই স্প্ল্যাশডাউন প্রক্রিয়া শেষ হবে। এই স্প্ল্যাশডাউনটি হবে মহাকাশ মিশনের শেষ ধাপ, যা সফলভাবে সম্পন্ন হলে সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরসহ অন্যান্য নভোচারীরা নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসবেন। এই মিশনের সফল সমাপ্তি মহাকাশ গবেষণায় আরও একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হবে এবং মহাকাশ অভিযানের প্রতি মানুষের আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দেবে। মহাকাশের যাত্রা যতোই কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং হোক না কেন, সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরের সফলভাবে পৃথিবীতে ফেরার প্রক্রিয়া বিশ্বজুড়ে মহাকাশ গবেষণার প্রতি শ্রদ্ধা ও আগ্রহের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। নাসার এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি সারা বিশ্বে লাইভ দেখার মাধ্যমে মহাকাশের রহস্য উন্মোচনের প্রতি আগ্রহী সকল মানুষ নতুন অনুপ্রেরণা পাবে।