ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং বর্তমান প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর নিজের প্রথম আইসিসি প্রতিযোগিতায় কোচ হিসেবে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর গম্ভীর এখন নিজের পরবর্তী লক্ষ্য স্থির করেছেন এবং ভারতের ক্রিকেট ভবিষ্যতের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।
উলেখ্য, অপরিবর্তিত পরিস্থিতির মধ্যে, যেখানে আগামী তিন মাস ভারতীয় জাতীয় দলের কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ নেই এবং আইপিএল শুরুর অপেক্ষা, গম্ভীর তার পরিকল্পনা থামিয়ে রাখবেন না। তিনি এই সময়ে জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ সাফল্য নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। ২০২৪ সালে দেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, তার পরবর্তী বছর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং এক দিনের বিশ্বকাপের জন্য দল তৈরি করার জন্য তিনি ‘এ’ দলকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন। ভারতের কোচ হিসেবে গম্ভীর তার প্রথম বড় কাজের দিকে নজর রেখে এগিয়ে চলেছেন। ভারতের ‘এ’ দলের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন রাহুল দ্রাবিড়, কিন্তু বর্তমানে ‘এ’ দলের জন্য কোন নির্দিষ্ট কোচ নেই। এই শূন্যতা পূরণ করার জন্য গম্ভীর অজিত আগরকরের সাথে আলোচনা করেছেন এবং ‘এ’ দলের সাথে বিদেশ সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। গম্ভীর ইতিমধ্যেই বোর্ডকে সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন। ইংল্যান্ডে ২০ জুন থেকে ভারতের ‘এ’ দলের সিরিজ শুরু হবে এবং গম্ভীর সেখানে দলের সঙ্গে থাকবেন। এটি প্রথমবারের মতো হতে যাচ্ছে, যখন জাতীয় দলের কোচ কোনও ‘এ’ দলের সঙ্গে বিদেশ সফরে যাবেন। গম্ভীরের পরিকল্পনা হচ্ছে, ভারতীয় ক্রিকেটে প্রতিটি ফরম্যাটের জন্য আলাদা আলাদা দল তৈরি রাখা। কিছু খেলোয়াড় হয়তো তিনটি ফরম্যাটেই খেলবেন, তবে বেশিরভাগ খেলোয়াড় তাদের নিজস্ব ফরম্যাটে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠবেন। ‘এ’ দলের ভূমিকা এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার আগে ‘এ’ দলের অভিজ্ঞতা ক্রিকেটারদের জন্য মূল ভূমিকা পালন করে।
স্পেসএক্স-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে ভারতী এয়ারটেল
প্রসঙ্গত, ভারতের বর্তমান টেস্ট দলের দুই বড় তারকা, রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির ভবিষ্যৎ নিয়ে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা রয়েছে। গম্ভীর এই পরিস্থিতিতে তরুণ খেলোয়াড়দের, যেমন অভিমন্যু ঈশ্বরণ, সরফরাজ খান, করুণ নায়ারদের তৈরি রাখতে চান। একই সঙ্গে, জাতীয় দলের পেস বোলিং আক্রমণে মহম্মদ শামি বা জসপ্রীত বুমরাহের মতো খেলোয়াড়দের অবসরের পরও তাদের জায়গা পূরণের জন্য রিজার্ভ বেঞ্চ তৈরি করতে চাইছেন তিনি। ২০২৭ সালের এক দিনের বিশ্বকাপ পর্যন্ত দলে অনেক পরিবর্তন হতে পারে, তাই গম্ভীর এই পরিবর্তন মসৃণভাবে আনার পরিকল্পনা করছেন। গম্ভীর আরও উল্লেখ করেছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য আইপিএলকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া হিসেবে দেখতে হবে। আইপিএল থেকে উঠে আসা তরুণ খেলোয়াড়রা জাতীয় দলের জন্য প্রস্তুত হতে পারবে, যা ভবিষ্যতে ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য বড় ভূমিকা রাখবে। সব মিলিয়ে, গম্ভীর আগামী তিন মাস খেলায় না থাকলেও, তিনি তার পরিকল্পনা ও দলে ভবিষ্যৎ সাফল্য নিশ্চিত করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তার এই উদ্যোগ ভারতের ক্রিকেটের উন্নতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।