ইসরোর মহাকাশে স্পেস ডকিংয়ের সাফল্য: ভারতের নতুন কীর্তি

banner

journalist Name : Bidisha Karmakar

#Pravati Sangbad Digital Desk :

এতদিন মহাকাশে স্পেস ডকিং-এর কাজ শুধুমাত্র তিনটি দেশেরই ছিল—আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীন। কিন্তু এবার এই তালিকায় যোগ হল ভারত। ২০২৫ সালে, ভারতের মহাকাশ সংস্থা **ইসরো** সফলভাবে স্পেস ডকিংয়ের কাজ সম্পন্ন করেছে, এবং মহাকাশ অভিযানে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে।

স্পেস ডকিং হল দুটি মহাকাশযান বা স্যাটেলাইটকে মহাকাশে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত করার প্রক্রিয়া। এটি মহাকাশ অভিযানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর মাধ্যমে একাধিক স্যাটেলাইটের রক্ষণাবেক্ষণ এবং অন্যান্য মহাকাশ মিশন সহজভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হয়। ইসরোর স্পেস ডকিং এক্সপেরিমেন্ট (SpaDex) নামে পরিচিত এই মিশনটি ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। এর লক্ষ্য ছিল দুটি ছোট স্যাটেলাইটকে মহাকাশে একে অপরের সঙ্গে সফলভাবে যুক্ত করা। এই স্যাটেলাইট দুটি ছিল টার্গেট এবং চেজার, যার মোট ওজন ছিল ২২০ কিলোগ্রাম। ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশের সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ভারতের পিএসএলভি রকেটের মাধ্যমে এগুলো মহাকাশে পাঠানো হয়। 

স্মার্টফোনে ভুয়া ওয়েবসাইটের ফাঁদ

স্পেস ডকিংয়ের এই ঐতিহাসিক সাফল্যের পর, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক টুইট বার্তায় ইসরোর বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানান। তিনি লেখেন, “স্যাটেলাইটের মহাকাশ ডকিংয়ের সফল প্রদর্শনের জন্য ISRO-এর সমস্ত বিজ্ঞানীদের এবং সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন। আগামী বছরগুলোতে মহাকাশে ভারত আরও অভিযান চালাবে। স্পেস ডকিং আমাদের মহাকাশ মিশনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।”স্পেস ডকিংয়ের পথে কিছু প্রযুক্তিগত বাধা ছিল। ২০২৪ সালের ৭ ও ৯ জানুয়ারি ইসরো পরীক্ষামূলকভাবে স্যাটেলাইট দুটি কক্ষপথে ধীরে ধীরে কাছাকাছি আনার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু কিছু সমস্যা দেখা দেয়। তবে, কঠোর পরিশ্রম এবং আন্তরিক প্রচেষ্টার পর অবশেষে এই পরীক্ষায় সফলতা আসে।


বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, স্পেস ডকিংয়ের মাধ্যমে মহাকাশ মিশন আরও সহজ ও কার্যকরী হয়ে উঠবে। রকেট পাঠিয়ে মহাকাশে একাধিক স্যাটেলাইটের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা করা এখন থেকে সহজ হবে। তাছাড়া, যদি ভবিষ্যতে চাঁদ থেকে কোনও তথ্য সংগ্রহ করতে হয়, তবে স্পেস ডকিং এই কাজটি দ্রুত এবং সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে সহায়তা করবে। স্পেস ডকিংয়ের সাফল্য ভারতের মহাকাশ অভিযানে একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে গণ্য হচ্ছে। এটি ইসরোকে আরও শক্তিশালী ও সক্ষম করে তুলবে, যা ভবিষ্যতে মহাকাশে ভারতের উপস্থিতি আরও দৃঢ় করবে। স্পেস ডকিং প্রযুক্তি, ভবিষ্যতে আরও উচ্চাভিলাষী মিশনের পথে ভারতকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাবে। ভারতের স্পেস ডকিংয়ের সাফল্য শুধু একটি প্রযুক্তিগত অর্জন নয়, এটি দেশের মহাকাশ গবেষণার নতুন দিগন্তের সূচনা। ইসরোর এই কৃতিত্ব বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে, ভারত মহাকাশ গবেষণায় যে কোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম।

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Related News