Flash news
    No Flash News Today..!!
Sunday, February 9, 2025

আরএল স্যালাইন সহ ওই সংস্থার ১৪টি ওসুধ নিষিদ্ধ করল স্বাস্থ্য দফতর

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতর সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস দ্বারা তৈরি ১৪টি ওষুধ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে পূর্বে নিষিদ্ধ করা রিঙ্গার্স ল্যাকটেটও রয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, যেখানে জানানো হয়েছে যে, এই ১৪টি ওষুধ কোনওভাবেই ব্যবহৃত হবে না। রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট, ভাইস-প্রিন্সিপাল এবং সমস্ত জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, এগুলি ব্যবহৃত হলে তা আইনি পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে পারে। 

১৪টি নিষিদ্ধ ওষুধের তালিকা:

১. ডেক্সট্রোস ইনজেকশন ১০% (৬৫০ এমওএসএম/লিটার) হাইপারটোনিক

২. লেভোফ্লোক্সাসিন ইনফিউশন-৫ মিলিগ্রাম/১০০ মিলিলিটার বোতল  

৩. ম্যানিটল ইনফিউশন আইপি ২০% - ১০০ মিলিলিটার বোতল  

৪. অফলোক্সাসিন- ২০০ মিলিগ্রাম/১০০ মিলিলিটার 

গুগল ম্যাপস: আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ

৫. পেডিয়াট্রিক মেনটেনান্স ইলেক্ট্রোলাইট সলিউশন 

৬. প্যারাসিটামল ইনফিউশন- ১০০০ মিলিগ্রাম/১০০ মিলিমিটার

৭. সোডিয়াম ক্লোরাইড ইনজেকশন আইপি ০.৯% (নর্ম্যান বা ইস্টোনিক স্যালাইন)  

৮. ডেক্সট্রোস সলিউশন আইপি ৫%  

৯. রিঙ্গার ল্যাকটেট সলিউশন আইপি ইনজেকশন

১০. রিঙ্গার ল্যাকটেট আইপি ইনজেকশন 

১১. সোডিয়াম ক্লোরাইড ইরিগেশন সলিউশন (এনএস- ৩ লিটার) 

১২. সোডিয়াম ক্লোরাইড ০.৯% + ডেক্সট্রস ৫% ইনজেকশন আইপি

১৩. সোডিয়াম ক্লোরাইড ইনজেকশন ০.৪৫% ডেক্সট্রোস ৫% পলিপ্রোপেলিন বটল  

১৪. সোডিয়াম ক্লোরাইড ইনজেকশন ০.৯% নর্ম্যাল বা ইস্টোনিক স্যালাইন  


এই নিষেধাজ্ঞা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে একটি প্রসূতির মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে, নিম্নমানের স্যালাইন ব্যবহারের কারণে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে এবং কয়েকজন প্রসূতিও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই ঘটনায় রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন এবং বিভিন্ন নথি, যেমন রিঙ্গার্স ল্যাকটেটের ব্যাচ নম্বর, হাসপাতালের রোস্টার এবং লগবুক পরীক্ষা করেছেন।

স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ অনুসারে, যেকোনো হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজের কাছে যদি এই ১৪টি নিষিদ্ধ ওষুধ থাকে, তবে তা তৎক্ষণাৎ সরিয়ে ফেলতে হবে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। এই পদক্ষেপটি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার গুণগত মান এবং রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ। সিআইডি ইতিমধ্যে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তদন্ত শুরু করেছে এবং হাসপাতালের সুপার, ডাক্তার ও নার্সদের সাথে কথা বলছে। তদন্তের মধ্যে ওই ওষুধের ব্যাচ নম্বর এবং ব্যবহারের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।  এই পদক্ষেপটি রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নৈরাজ্য প্রতিরোধে এবং সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Bidisha Karmakar

Related News