ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এবার ক্রিকেটারদের বেতন কাঠামোতে বড়সড় পরিবর্তন আনতে চলেছে। বোর্ড পারফরম্যান্স নির্ভর “ভ্যারিয়েবল পে” সিস্টেম চালু করার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে, যার মাধ্যমে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বেতন নির্ধারণ করা হবে। এই পদ্ধতিতে খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য বেতন কাটা হতে পারে, এবং ভাল পারফরম্যান্সের জন্য অতিরিক্ত বোনাস দেওয়া হবে।
বিসিসিআই দীর্ঘদিন ধরে ক্রিকেটারদের জন্য আর্থিক সুবিধা প্রদান করে আসছে, কিন্তু এখন থেকে তারা একটি কর্পোরেট সংস্থার মতো ভ্যারিয়েবল পে সিস্টেম চালু করতে চায়। এটি এমন একটি ব্যবস্থা হবে যেখানে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে তাদের বেতন পরিবর্তিত হবে। এর ফলে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলির মতো তারকা ক্রিকেটাররাও এর আওতায় আসবেন এবং খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য তাদের বেতনেও কাটা পড়তে পারে।
ত্রুটিপূর্ণ পদক বদলানো হবে, আইওসির বড় ঘোষণা
উলেখ্য, টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়াতে বিসিসিআই ২০২২-২৩ সালে একটি নতুন নিয়ম চালু করেছিল, যার মাধ্যমে যারা ৫০ শতাংশের বেশি টেস্ট খেলেন, তাদের অতিরিক্ত ৩০ লক্ষ টাকা ইনসেনটিভ দেওয়া হয়। এতে প্রতি ম্যাচের জন্য ক্রিকেটাররা ৭৫ লক্ষ টাকা পেতে শুরু করেছিলেন, যা আগে ছিল ৪৫ লক্ষ। এখন বিসিসিআই একটি নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে, যা শুধুমাত্র বেতন কাঠামোতে পরিবর্তন আনার জন্য নয়, বরং ক্রিকেটারদের টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে সাহায্য করবে। বোর্ড আশা করছে যে, পারফরম্যান্স নির্ভর বেতন কাঠামো ক্রিকেটারদের আরও মনোযোগী করবে এবং তারা সাদা বলের ক্রিকেটের পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেটেও তাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবে।
প্রসঙ্গত, বিসিসিআই একটি নতুন শৃঙ্খলা নীতি গ্রহণ করতে চলেছে, যা বিদেশ সফরের সময় ক্রিকেটারদের স্ত্রীরা দলের সঙ্গে সম্পূর্ণ সময় থাকতে পারবেন না। বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত দলের মধ্যে সমন্বয় এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নেওয়া হয়েছে। সিরিজ চলাকালীন ক্রিকেটারদের টিম বাসেই যাতায়াত করতে হবে, তারা ব্যক্তিগতভাবে অন্য কোনো যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে পারবেন না। বিসিসিআইয়ের সাম্প্রতিক বৈঠকে ক্রিকেটারদের টেস্ট খেলার প্রতি অনীহা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সাদা বলের ক্রিকেটে অধিক মনোযোগ দেয়া নিয়ে বোর্ডের কর্তারা ক্ষুব্ধ, কারণ এটি টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দিচ্ছে। বিসিসিআইয়ের নতুন পদ্ধতি ক্রিকেটারদের জন্য একটি বড় পরিবর্তন এনে দেবে। পারফরম্যান্স ভিত্তিক বেতন কাঠামো এবং শৃঙ্খলা সংক্রান্ত নতুন নীতির মাধ্যমে বোর্ড আশা করছে যে, ক্রিকেটারদের আরও পেশাদার মনোভাব এবং ভাল পারফরম্যান্সের দিকে মনোযোগ নিবদ্ধ হবে। এটি টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়াতে এবং সাদা বলের ক্রিকেটের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।