ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য ২০২৫ সালের শুরুটা অস্ট্রেলিয়ার কাছে সিডনি টেস্টে পরাজয়ের মাধ্যমে হলেও সামনে রয়েছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সীমিত ওভারের সিরিজ, যা তাদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে প্রথম সিরিজটি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে, যেখানে ভারতের বিপক্ষে প্রথমে ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ এবং পরবর্তী ৩ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে।
ভারতীয় দল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথমে ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবে, যা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি থেকে। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচটি কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত হবে, এবং সিরিজের পরবর্তী চারটি ম্যাচ যথাক্রমে চেন্নাই, রাজকোট, পুণে এবং মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত হবে। সবগুলো টি-২০ ম্যাচই ভারতীয় সময় অনুযায়ী সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে, এবং টস অনুষ্ঠিত হবে ৬টা ৩০ মিনিটে। টি-২০ সিরিজের পর ভারতীয় দল খেলবে ৩ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ, যা শুরু হবে ৬ ফেব্রুয়ারি নাগপুরে। পরবর্তী দুটি ওয়ান ডে ম্যাচ যথাক্রমে কটক এবং আমদাবাদে অনুষ্ঠিত হবে। ওয়ান ডে সিরিজের ম্যাচগুলি দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে এবং টস অনুষ্ঠিত হবে দুপুর ১টায়।
চিনের পশ্চিম সিজাং (Xizang) প্রদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্প:
টি-২০ সিরিজ:
১. প্রথম টি-২০: ২২ জানুয়ারি (কলকাতা, সন্ধ্যা ৭টা)
২. দ্বিতীয় টি-২০: ২৫ জানুয়ারি (চেন্নাই, সন্ধ্যা ৭টা)
৩. তৃতীয় টি-২০: ২৮ জানুয়ারি (রাজকোট, সন্ধ্যা ৭টা)
৪. চতুর্থ টি-২০: ৩১ জানুয়ারি (পুণে, সন্ধ্যা ৭টা)
৫. পঞ্চম টি-২০: ২ ফেব্রুয়ারি (মুম্বই, সন্ধ্যা ৭টা)
ওয়ান ডে সিরিজ:
১. প্রথম ওয়ান ডে: ৬ ফেব্রুয়ারি (নাগপুর, দুপুর ১টা ৩০ মিনিট)
২. দ্বিতীয় ওয়ান ডে: ৯ ফেব্রুয়ারি (কটক, দুপুর ১টা ৩০ মিনিট)
৩. তৃতীয় ওয়ান ডে: ১২ ফেব্রুয়ারি (আমদাবাদ, দুপুর ১টা ৩০ মিনিট)
কোথায় দেখবেন ম্যাচগুলি:
ভারতীয় দর্শকরা টেলিভিশনে স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্কে এবং অনলাইনে ডিজনি প্লাস হটস্টারে সরাসরি সম্প্রচার দেখতে পারবেন। তবে, রিলায়েন্স এবং ডিজনির সংযুক্তিকরণের পর খেলা জিও সিনেমায় দেখা যাবে না।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি:
ভারতীয় দল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই দুটি সীমিত ওভারের সিরিজে শক্তিশালী কম্বিনেশন গড়ে তুলতে চাইবে, যা তাদের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য প্রস্তুতি নিতে সহায়ক হবে। রোহিত শর্মাদের জন্য এই সিরিজ দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলোর মাধ্যমে তারা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য সেরা দল প্রস্তুত করতে পারবে। এই সিরিজ দুটি ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এর মাধ্যমে তারা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করবে এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য একটি শক্তিশালী দল গঠন করতে সক্ষম হবে।